ঢাকা, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

ফুটবল

ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের তাণ্ডব, পিএসজির দাপট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪১, জুন ১৬, ২০২৫
ক্লাব বিশ্বকাপে বায়ার্নের তাণ্ডব, পিএসজির দাপট

ফিফার নতুন সংস্করণের ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে জায়ান্টরা ভালো শুরু পাচ্ছে। রোববার ইউরোপের দুই জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট-জার্মেই (পিএসজি) ও বায়ার্ন মিউনিখ দেখিয়ে দিল কেন তারা ফেবারিট।

পিএসজি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লা লিগার শক্তিশালী ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদকে, আর বায়ার্ন মিউনিখ ১০-০ গোলে ধ্বংস করল নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটিকে।

পিএসজির রাজকীয় সূচনা: আতলেতিকোকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল এনরিকের দল

পাসাডেনার ঐতিহাসিক রোজ বোল স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজি শুরু থেকেই আধিপত্য ধরে রাখে। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে দলকে এগিয়ে দেন ফাবিয়ান রুইজ। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গ্রিজমানের একটি মিস থেকে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক হয়, যা ভিতিনহা নিখুঁতভাবে শেষ করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খভিচা কভারাতসখেলিয়া প্রায় তৃতীয় গোলটি করেই ফেলেছিলেন, কিন্তু আতলেতিকোর গোলরক্ষক ওবলাকের অসাধারণ সেভে বাঁচে দলটি। এরপর হুলিয়ান আলভারেজ একটি গোল করলেও, ভিএআরের মাধ্যমে দেখা যায় কোকে আগেই ফাউল করেছিলেন। গোল বাতিল হয়।

আতলেতিকোর দুর্ভাগ্য এখানেই শেষ হয়নি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে ক্লেমাঁ লংলে লাল কার্ড পান। সুযোগ কাজে লাগায় পিএসজি—৮৭তম মিনিটে সেনি মায়ুলু তৃতীয় গোল করেন, আর অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে লি কাং-ইনের পেনাল্টিতে ম্যাচ শেষ হয় ৪-০ স্কোরলাইনে।

বায়ার্নের গোলবন্যা: অকল্যান্ডকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে ইতিহাস গড়ল জার্মান জায়ান্টরা

সিনসিনাটিতে আয়োজিত ম্যাচে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করতে নামেন বায়ার্নের খেলোয়াড়রা। মাত্র ৬ মিনিটেই জশুয়া কিমিচের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন কিংসলে কোমান। এরপর মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে তিনটি গোল—সাশা বোয়, মাইকেল ওলিসে ও আবার কোমান গোল করেন।

টমাস মুলার ও মাইকেল ওলিসে আরও দুটি গোল করে প্রথমার্ধ শেষ হয় ৬-০ তে। দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি থেকে ফেরা জামাল মুসিয়ালা ঝড় তোলেন। বদলি হিসেবে নেমেই মাত্র ১৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন তিনি—একটি কভার শট, একটি পেনাল্টি, আর একটি গোল ডিফেন্ডারের ভুলের সুযোগ নিয়ে।

ম্যাচের শেষ দিকে মুলার নিজের দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ১০-০। ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

অকল্যান্ড কোচ ইভান ভিসেলিচ বলেন, “আমাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই ছুটি নিতে হয়েছে এই টুর্নামেন্টে আসার জন্য। বায়ার্নের মতো দলের বিপক্ষে খেলা জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। ”

এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।