নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ-নেপাল ফিফা প্রীতি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে, সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার বিকেল থেকে দেশটিতে কারফিউ জারি করেছে সরকার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানায়, ‘আমাদের দলের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। খেলোয়াড়রা নিরাপদে টিম হোটেলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিটি পদক্ষেপ গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানানো হবে। ’
দলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ম্যাচের ভাগ্য নির্ভর করছে নেপাল ফুটবল ফেডারেশনের জরুরি বৈঠকের ওপর। যদি ম্যাচ বাতিল হয়, তবে বাংলাদেশ দল বুধবারের নির্ধারিত ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা না করে মঙ্গলবারই দেশে ফিরতে চায়।
অশান্ত পরিস্থিতির কারণে জামাল ভূঁইয়াদের আজ দশরথ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। খেলোয়াড়রা হোটেলে জিম ও রিকভারি সেশন করেছেন। গতকাল নেপাল দল নিয়মিত অনুশীলন করলেও বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সতীর্থদের বিশ্রামে রেখেছিলেন।
এদিকে কাঠমান্ঠুর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচ ও অধিনায়করা জয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণের লড়াই হিসেবে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে বড় প্রত্যাশা তৈরি করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি কি খেলার অনুমতি দেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এআর/এমএইচএম