এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগকে সামনে রেখে বর্তমানে হংকংয়ে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আগামী ১৪ অক্টোবর মাঠে নামবে জামাল-সোহেলরা।
হংকংয়ে পৌঁছানোর পর থেকেই নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছে সফরকারী দল। অনুশীলনের জন্য যে মাঠগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর অবস্থা নাজুক এবং হোটেল থেকে দূরত্বও অনেক বেশি। এতে খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
দলের অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সোহেল রানা বলেন, ‘গতকাল যে মাঠে আমাদের অনুশীলন দেওয়া হয়েছিল, সেটা হোটেল থেকে অনেক দূরে। যেতে লেগেছে প্রায় ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময়। মাঠের মানও সন্তোষজনক ছিল না। আজকেও একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। তবে আমরা মানসিকভাবে এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ’
আন্তর্জাতিক ফুটবল নীতিমালা অনুযায়ী, ম্যাচের অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে সফরকারী দলের জন্য অনুশীলনসহ সব ধরনের লজিস্টিক সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্ব স্বাগতিক দেশের। বাংলাদেশ দল ১০ অক্টোবর রাতে হংকং পৌঁছালেও, ১১ অক্টোবর থেকেই তারা অনুপযুক্ত মাঠে অনুশীলন করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে— হংকং কি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিপক্ষকে অসুবিধায় ফেলছে?
যদিও ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশ দল ম্যাচ ভেন্যুতেই অনুশীলনের সুযোগ পাবে, তবে তা যথেষ্ট কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পরিকল্পনা নিয়েও চলছে আলোচনা। প্রথম লেগে ভারতের শিলংয়ে খেলতে যাওয়ার সময়ও একই ধরনের বিড়ম্বনার মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। তখনও দলকে পাঁচ দিন আগে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাব ছিল স্পষ্ট। এবারও একই পদ্ধতি অনুসরণ করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন কোচ কাবরেরা।
বিশ্লেষকদের মতে, একটি ম্যাচ শেষে ভুলগুলো চিহ্নিত করে সংশোধনের সময় পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ৯ অক্টোবর ম্যাচ খেলে ১০ তারিখেই হংকং পৌঁছানোয় সেই সুযোগ আর মেলেনি। ফলে দলের কৌশলগত প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়ে গেছে।
কাবরেরা বলেন, ‘আমরা এখানে এসে রিকভারিতে মনোযোগ দিয়েছি এবং স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কাজ করছি। ’
তবে তার কোচিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দলের দায়িত্বে থাকলেও, একাদশ নির্বাচন ও ম্যাচ চলাকালীন কৌশলগত সিদ্ধান্তে তিনি বারবার সমালোচিত হয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ার পেছনে কাবরেরার কৌশলগত সীমাবদ্ধতাই প্রধান কারণ।
এআর