ঢাকা: ইনজুরির কবলে পড়ে মাত্র চার সপ্তাহ আগে ডাক্তারের ছুরির নিচে যেতে হয়েছিলো তাকে। আর এ কারণে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেননি।
পুরোপুরি সুস্থ না হয়েই খেলতে নামেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ‘জীবন-মরণ লড়াই’য়ের ম্যাচে। আর নেমেই করেন জোড়া গোল। তার জোড়া গোলে বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো উরুগুয়ে। অপরদিকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিদায় ঘণ্টাও প্রায় বেজে গেলো।
পুরোপুরি সুস্থ নন, তাতে কী? ফুটবলের নায়কেরা এভাবেই খেলেন! জীবন বাজি রেখে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেন দলের পক্ষে, দেশের পক্ষে।
‘সি’ গ্রুপের ইংল্যান্ড-উরুগুয়ে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। পরে ৭৫ মিনিটে ওয়েইন রুনি ইংল্যান্ডের পক্ষে গোল করে সমতা আনেন। উরুগুয়েকে বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া কোনো ভিন্ন উপায় ছিলো না। দলের প্রয়োজনে আবারও ত্রাতা হয়ে ফিরলেন সুয়ারেজ! ৮৫ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলে জয় পায় উরুগুয়ে।
গত বিশ্বকাপে ঘানা স্ট্রাইকার আসামোয়া জিয়ানের নিশ্চিত গোল গোললাইন থেকে হাত দিয়ে ফিরিয়ে দিয়ে হয়েছিলে নায়ক। হাত দিয়ে গোল আটকে দেওয়ায় দেখেছিলেন লাল কার্ড, কিন্তু দেশবাসীর কাছে হয়েছিলেন নায়ক, হয়েছিলেন বিশ্বব্যাপী ফুটবল পাগল জনতার নায়ক।
প্রকৃত নায়করা এমনই! যে কোনোভাবেই হোক শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেন নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে। সুয়ারেজ উরুগুয়ের নায়ক, ফুটবলপ্রেমী জনতার নায়ক!
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৪ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৪