২২ জুন, ১৯৮৬। চট করে তারিখ দেখে কিছু বোঝা না গেলেও, ‘ম্যারাডোনা’ আর ‘ঈশ্বরের হাত’ শব্দদুটো বললেই বুঝে যাবে সবাই।
আজ এত বছর পরেও সেই গোল নিয়ে বিতর্ক এতটুকু কমেনি। শনিবার ছিল ‘ঈশ্বরের হাত’ দিয়ে দেওয়া সেই গোলের ২৮তম জয়ন্তী। গেলো শনিবার ঠিক এ দিনেই আবারও বিতর্কের জন্ম দিলেন তিনি। তবে এবার ‘ঈশ্বরের আঙুল’ তথা মধ্যমা আঙুল দেখিয়ে।
তবে তার এবারের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জুলিও গ্রনোদা। ম্যারাডোনাকে ‘অপয়া লোক’ বলায় লাইভ টিভিতে প্রতিবাদ হিসেবে তার এই আঙুল প্রদর্শনী!
কারণ হিসেবে তার প্রতিক্রিয়া ছিল যে, শনিবার আর্জেন্টিনা ইরানের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়লাভ করার পর জুলিও গ্রনোদা তাকে একজন অপয়া লোক বলেছিলেন।
সেদিন বেলো হরিজন্তের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু মেসির গোলে জয় পাওয়ার একটু আগেই তিনি চলে যান মাঠ ছেড়ে।
আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমের খবর, গ্রনোদা বলেছিলেন, ‘অপয়া লোকটি চলে গেল এবং আমরা জিতেছিলাম’।
এমনিতে ম্যারাডোনার সঙ্গে গ্রনোদার ঠোকাঠুকির সম্পর্ক।
টেলিসুর-এর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে.ফুটবল জাদুকর বলেন, ‘নিচু, বাজে লোক। এটা মেসির নৈপূণ্য, আমি চলে গেছি এজন্য নয়। ’
বাম ঘরানার ল্যাটিন আমেরিকান নেটওয়ার্ক টেলিসুর-এ তিনি বিশ্বকাপে একজন ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন। এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রয়াত সমাজতান্ত্রিক নেতা হুগো শ্যাভেজ। ম্যারাডোনা তার অনুসারি ও বন্ধু ছিলেন।
৮২ বছর বয়সী গ্রনোদা ১৯৭৯ সাল থেকে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকোতে ম্যারাডোনার বিশ্বকাপ জেতানোর সময় তিনি ছিলেন দলের দায়িত্বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৪