ঢাকা: গোলশূন্য প্রমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জিওভান্নি দস সান্তোসের গোলে এগিয়ে মেক্সিকো। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে শূন্যের বল বুক দিয়ে রিসিভ করে ৩০ গজ দূর থেকে দর্শনীয় শটে গোণ করেন দস সান্তোস।
এর আগে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে প্রথমার্ধ শেষ করে উজ্জীবিত মেক্সিকো। প্রথমার্ধের খেলায় হল্যান্ডের গতিময় ফুটবলের কোনো দেখাই পাওয়া যায়নি। বরঞ্চ প্রথমার্ধ জুড়ে মেক্সিকোর আক্রমণ সামলাতেই ব্যস্ত দেখা গেছে ডাচদের।
ম্যাচের ৩ মিনিটে মেক্সিকোর উইং ব্যাক মিগুয়েল লাউনের করা খেলার প্রথম শট হল্যান্ডের গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
এরপর ৪ মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে যায় ডাচরা। বাম পাশ থেকে স্নেইডারের মেক্সিকোর ডিবক্সের ভেতরে বল ডেলিভারি দিলে তা ধরতে পারেননি স্ট্রাইকার ফন পার্সি।
খেলার মাত্র ৯ মিনিটে নাইজেল ডি জং ইনজুরি আক্রান্ত হলে তার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ডাচ ডিফেন্ডান ব্রুনো মার্টিন্স ইন্ডি।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে মেক্সিকোকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান মিগুয়েল হেরেরা। ডস সান্তোসের পাস ডি বক্সের ভেতরে পেয়ে বাম পায়ের দারুণ শট করেন হেরেরা, তার শট হল্যান্ডের বামপাশের গোলবার ঘেঁষে চলে যায়।
২৪ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে সালসিদোর জোরালো শট ছাপিয়ে পড়ে দলকে গোল হজম করা থেকে আটকে দেন ডাচ গোলরক্ষক সিলেসেন।
খেলার ২৭ মিনিটে মেক্সিকোর গোলবার মুখে প্রথম শট করার সুযোগ পায় নেদারল্যান্ডস। স্টেফান ডি ভ্রিজের কাছ থেকে বল পেয়ে ফন পার্সির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট পর্যন্ত বল পজেশন দুদলের প্রায় সমান হলেও হল্যান্ডকে মেক্সিকোর আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।
ম্যাচের ৩৭ মিনিট পর্যন্ত সময়ে নেদারল্যান্ডসের গোলবার মুখে মেক্সিকোর নেওয়া ৫টি শটের ৩টি অনশট হয়েছে। অন্যদিকে মেক্সিকোর গোলবার উদ্দেশ্যে ডাচদের নেওয়া একটি মাত্র শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৪২ মিনিটে গুয়ার্দাদোর কাছ থেকে পাস পেয়ে শট করেন ডস সান্তোস, তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এরপর ৪৫ মিনিটে হল্যান্ডের পাল্টা আক্রমণে মেক্সিকোর ডি বক্সে বল পান রোবেন। মেক্সিকান ডিফেন্ডার মার্কুয়েজ তাকে ট্যাকল করেন মেক্সিকান, রোবেনের পেনাল্টি আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪