ঢাকা: ম্যাচের ৯০ মিনিটে পাপাস্তাথোপৌলসের গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে গ্রিস। তার এ গোলের সুবাদে নির্ধারিত সময়ে গ্রিস-কোস্টারিকা ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়।
এর আগে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় কোস্টারিকা। খেলার ৫১ মিনিটে বোলানসের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন ব্রায়ান রুইজ। আর রুইজের এই গোলে গ্রিসকে হারিয়ে জয়ের স্বপ্নে মেতে ওঠে মাঠভর্তি কোস্টারিকার সমর্থকরা।
খেলার ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কোস্টারিকার ডিফেন্ডার অস্কার দুয়ার্তে। তবে দুয়ার্তেকে সরাসরি লাল কার্ড দেননি রেফারি। ম্যাচের ৪২ মিনিটে গ্রিসের ফরোয়ার্ড ক্রিস্তোদোলোপৌলসকে ফাউল করলে প্রথম প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন দুয়ার্তে। এরপর ৬৭ মিনিটে আবারও অবৈধভাবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বাধা দেওয়ায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দুয়ার্তেকে।
পিছিয়ে পড়া গ্রিস ১০ জনের কোস্টারিকাকে চেপে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি।
এর আগে প্রথমার্ধে গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেললেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে চলতি বিশ্বকাপে চমক জাগানো দল কোস্টারিকা। অন্যদিকে বেশকিছু আক্রমণ থেকে গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি গ্রিসের খেলোয়াড়রা।
খেলার ৮ মিনিটেই কোস্টারিকার খেলোয়াড় বোলানসের শট গ্রিসের গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
এরপর ম্যাচের ১২ মিনিটে গ্রিসের খেলোয়াড় লাজারস ক্রিস্তোদোলোপৌলসের শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
খেলার ২৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় কোস্টারিকা। কিন্তু বোলানসের ডেলিভারিতে হেড করে গোল করতে ব্যর্থ হন কোস্টারিকার সেলসো বোর্গেস।
এরপর ২৮ মিনিটে জর্জিওস ক্যারাগুনিসের শট আটকে দেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
৩৬ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন গ্রিসের খেলোয়াড় সামারিস।
৩৭ মিনিটে গ্রিসের ফরোয়ার্ড সালপিনগিদিসের শট দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
এরপর ৪১ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতয় হলুদ কার্ড দেখেন কোস্টারিকার খেলোয়াড় দুয়ার্তে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪