ঢাকা: আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ধরেই নিয়েছেন তার দল ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে। আর মারকানায় অনুষ্ঠিত সেই ফাইনালে তিনি খেলতে চান এবারের বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে।
মেসির ইচ্ছেপূরণে অনেকটা এগিয়ে স্বাগতিক ব্রাজিল। ইতোমধ্যে তারা চিলিকে হারিয়ে পৌঁছে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। মঙ্গলবার সাবেলার দল সাও পাওলোতে খেলবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে। জিতলে মেসির ইচ্ছে এগোবে আরেক ধাপ।
এবারের বিশ্বকাপের ফরম্যাট এমন যে, পরবর্তী ম্যাচগুলো দু’দলই জিতলে ফাইনালে দেখা হওয়া অবশ্যম্বভাবী।
বার্সা তারকা মেসি বলেন, মারকানায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফাইনাল হবে বিশেষ কিছু। সারা বিশ্বই সেই স্বপ্ন দেখছে, তাই নয় কি?
তিনি বলেন, তোমরা শুধু চিন্তা করতে পার যে কত মানুষ আর্জেন্টিনায় আসবে যদি আমরা ব্রাজিলকে হারাতে পারি- এটা মানুষের সারাজীবন মনে থাকবে।
আমি মানুষের আকাঙ্ক্ষা বুঝি। তাদের ফুটবলের প্রতি রয়েছে অসীম ভালোবাসা, যেটা ব্রাজিলিয়ানরা করছে- এটা অসাধারণ।
ব্রাজিলে আমাদেরও অসংখ্য ভক্ত রয়েছে। সুতরাং, আমি মনে করি ঘরের মাঠে খেলার মতোই সুবিদা পাব আমরা। যোগ করেন মেসি।
তিনবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচেই গোল পেয়েছেন। তিনি গোল্ডেন বুট জিততে চান, কিন্তু দলের জয়ের জন্য তার গোল ত্যাগ করতেও প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমি গোল করতে পছন্দ করি। আমি যদি গোল্ডেন বুট জিততে পারি তাহলে সেটি হবে আমার জন্য বিশেষ কিছু। কিন্তু তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর্জেন্টিনা ভালো করবে।
২৭ বছর বয়সী মেসি গত বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ৪-০ গোলে হারমানা দলের সদস্য ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি মনে করেন সে অভিজ্ঞতা তাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
এ সম্পর্কে জার্মানির কাছে আমাদের হার ছিল খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু তারা সেদিন অসাধারণ একটি দল ছিল, এখনো সেটি রয়েছে।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আর বলেন, আমরা এটা শিখেছি যে, আমাদের গভীর মনোযোগী হতে হবে প্রতিটি মুহূর্তে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের দল হতে হবে শক্তিশালী। লড়তে হবে সম্মিলিতভাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৪