ঢাকা: মুহূর্তে মুহূর্তে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েও কোনো গোলর দেখা পায়নি বেলজিয়াম। একদিকে নিজেরদের স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষ টিম হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোল বঞ্চিত রয়ে গেছে বেলজিয়াম।
নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় গড়িয়েছে ম্যাচটি।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বেলজিয়াম। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে মার্টেন্সের হেড নিচু দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ড।
খেলার ৫৪ মিনিটে অরিগি আবারও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন অরিগি। ডি ব্রুইনের কাছ থেকে পাওয়া বলে শট করে বলটিকে সাইড নেটে পাঠিয়ে দেন তিনি।
এর ঠিক দুমিনিট পরেই আবারও সুযোগ পান অরিগি। অ্যাল্ডাউইয়ার্ল্ড-এর ক্রসে করা তার হেড বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় অরিগিকে।
এরপর ম্যাচের ৬০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মার্টেন্স। বেলজিয়াম স্ট্রাইকার অরিগি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে পাস দেন মার্টেন্সকেম কিন্তু মার্টেন্স গোল করতে ব্যর্থ হন।
৬৯ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে উইটসেলের শট যুক্তরাষ্ট্রের বার ঘেঁষে চলে গেলে ফের হতাশ হতে হয় বেলজিয়ামকে।
৭২ মিনিটে আবারও অরিগিকে রুখে দেন টিম হাওয়ার্ড। এ সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের গোলবারে ২৪টি শট করেছে বেলজিয়াম। কিন্তু টিম হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত রয়ে যায় বেলজিয়াম।
৭৯ মিনিটে আবারও হ্যাজার্ডর শট আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রে গোলরক্ষক হাওয়ার্ড। শুধুমাত্র হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় এখনও এ ম্যাচে গোলউৎসব করতে পারেনি বেলজিয়াম।
শেষ ১০ মিনিটের প্রতিটি মিনিটে একটি করে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি বেলজিয়াম। স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা ও হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিতই রয়ে যায় তার ৯০ মিনিট পর্যন্ত।
এর আগে প্রথমার্ধের শুরুতেই গোল করার সুযোগ পান বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার ডিভক অরিগি। প্রথম মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে জোরালো শট করেন অরিগি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গোলরক্ষক হাওয়ার্ডের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় বেলজিয়াম।
খেলার প্রথম ১৫ মিনিট পর্যন্ত দু’দলই বেশ কিছু আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গেলেও, গোল করার সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে বেলজিয়াম।
খেলার ১৮ মিনিটে রেফারি তার পকেট থেকে প্রথম হলুদ কার্ড বের করেন। প্রকিপক্ষের খেলোয়াড়কে অবৈধভাবে বাধা দেওয়ায় কার্ড দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের মিডফিল্ডার জিওফ ক্যামেরন।
ম্যাচের ২১ মিনিটে ক্লিন্ট ডেম্পসির জোরালো শট ফিরিয়ে দেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোরতোয়া।
এরপর ২৩ মিনিটে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন বেলজিয়াসের উইঙ্গার কেভিন ডি ব্রুইন। মধ্যমাঠে ভেরতোঙ্ঘেনের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে ডিবক্সের ভেতরে ঢুকে গোল করার সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন ব্রুইন। তার বাম পায়ের শট গোলবারের পাশ দিয়ে চলে যায়।
এরপরও বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণদুর্গে হানা দেয় বেলজিয়ামের আক্রমণোগের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু তাদের ব্যর্থতায় গোলবঞ্চিত হয় বেলজিয়াম।
২৯ মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে গোল করার চেষ্টা করেন ইডেন হ্যাজার্ড। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক এবারও বেলজিয়ামকে আটকে দেন।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডি ব্রুইনের কাছ থেকে বল পেয়ে ডিবক্সের বাইরে থেকে আবারও গোল করার চেষ্টা করেন ইডেন হ্যাজার্ড। এবার তার শট ব্লক করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার।
৪২ মিনিটে ইয়েডলিনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলবার মুখে শট করেন যুক্তরাষ্ট্রে মিডফিল্ডার গ্রাহাম জুসি। তার শট গোল পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এরপর ৪৬ মিনিটে ইনজুরি সময়ে ব্রুইনের আরও এইট শট আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক হাওয়ার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৪