ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

টাইব্রেকারের জয়ে সেমিতে হল্যান্ড

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৪
টাইব্রেকারের জয়ে সেমিতে হল্যান্ড ছবি: সংগৃহীত

নির্ধারিত সময়ের মতো অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ গোলশূন্য থেকে যায়। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

অবশেষে ভাগ্যদেবি টাইব্রেকারে গিয়ে নেদারল্যান্ডের দিকে মুখ তুলে দেখলেন। ফলাফল ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো নেদারল্যান্ড। আর কোস্টারিকাকে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে থেকে বিদায় নিতে হলো।

পুরো ম্যাচে নেদারল্যান্ডকে দাবিয়ে রাখে বিশ্বকাপের এ আসরের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক কোস্টারিকার কেইলর নাভাস!

রোভেন-পার্সি-স্নাইডারদের ৮টি জোরালো শট সেভ করেছে নাভাস। তা না হলে খেলা নির্ধারিত সময়ে শেষ হতে পারতো। শেষ ম্যাচে হল্যান্ডের বিপক্ষে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই হয়তো কোস্টারিকানদের জন্য বড় সান্ত্বনা!

বদলি গোলরক্ষক টিম কার্লই নেদারল্যান্ডের জয়ের নায়ক। সে কোস্টারিকানদের করা দুটি টাইব্রেকার শট ঠেকিয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে।  

এর আগে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে গোলের স্বাদ পায়নি হল্যান্ড। এর পেছনে কোস্টারিকান গোলরক্ষক নাভাসের অবদান পুরোটাই।

পুরো ম্যাচে ৮টি গোল সেভ করেছে নাভাস। অন্যদিকে হল্যান্ডের গোলরক্ষক করেছে মাত্র একটি। খেলায় ৬৭ ভাগ বল নেদাল্যান্ডের দখলে থাকে। অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়ার কারণে মোট ৬টি হলুদ কার্ড হজম করতে হয় দু'দলকেই। এর মধ্যে কোস্টারিকা ৪টি এবং নেদারল্যান্ড ২টি কার্ড পান।

নেদারল্যান্ডের ১১টা কর্নার কিকের বিপরীতে কোস্টারিকা করেছে মাত্র একটি।

১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকায় হল্যান্ড-কোস্টারিকার ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। রোভেন-পার্সি-স্নাইডাররা কোস্টারিকার রক্ষণভাগ কয়েকবার ভেদ করলেও গোলরক্ষক নাভাসের দায়ীত্বশীল দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায়নি।

পুরো খেলা জুড়েই মনে হচ্ছিল ভাগ্য দেবি যেন মুখ থেকে কেড়ে নিচ্ছে নেদারল্যান্ডের স্বপ্ন। নিশ্চিত গোল হয়েও না হওয়াটা তারই ইঙ্গিত বহন করেছে।

দ্বিতীয়ার্ধের শেষ মুহূর্তে রবিন ভ্যান পার্সির ফ্রি-কিক থেকে করা শট সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন নাভাস।

এরপর আবারো আক্রমণ, আবারো পার্সি। এবারে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় গোল হয়েও হলোনা।

খেলার ২১ মিনিটের মাথায় ডিপের বাড়ানো পাস থেকে রবিন ভ্যান পার্সির বাম পায়ের শট দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দিয়ে গোলবঞ্চিত করেন ডাচদের।

পরবর্তী মিনিটে আবারো স্নেইডারের আক্রমণ রুখে দেন নাভাস। ৩৪ মিনিটে মাত্র ৬ গজ দূর থেকে কোস্টারিকার জনি অ্যাকোয়াস্টার ডান পায়ের শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে যায়।

৩৭ মিনিটে হলুদ কার্ড হজম করেন কোস্টারিকার জুনিয়র ডিয়াজ। এরপর ৩৯ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে করা স্রেইডারের লম্বা শট ডান দিকে ঝাপিয়ে নিরাপদে পার করে দেন গোলরক্ষক নাভাস।

খেলায় নাভাসের দৃঢ়তা ছাড়া কোস্টারিকানদের তেমন জ্বলে উঠতে দেখা না গেলেও গোলশূন্য থেকে গেল প্রথমার্ধ।

তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েও স্বপ্নের ট্রফি হাতে নিতে পারেনি ভাগ্য দেবির সাক্ষাত না পাওয়া নেদারল্যান্ড। এখন দেকার বিষয় সেমিফাইনালে আর্জেন্টাইনদের বিপক্ষে কেমন খেলে ডাচরা।

রোববার দিবাগত রাত ২টায় ব্রাজিলের সেলভাদর স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।