ঢাকা: বরাবরই বিশ্বকাপে দারুণ শুরু করেও করুণ পরিণতি নিয়ে ফিরতে হয় ডাচদের। সেই ১৯৭৪ থেকে শুরু।
কিন্তু বেকেনবাওয়ারের জার্মানির কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় ক্রুইফের নেদারল্যান্ডস ওরফে হল্যান্ডকে। পরেরবার ১৯৭৮-এ আবারও ফাইনালে পৌঁছে হল্যান্ড। এবার প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা। এবারও ডাচদের হতাশ করে ৩-১ গোলে জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
এরপর ২০১০ সালে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে হল্যান্ড। এবার প্রতিপক্ষ স্পেন, এবারও ফলাফল একই। অতিরিক্ত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার গোলে শিরোপা বঞ্চিতই হয় হল্যান্ড।
তবে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডাচরা এসেছিলো পূর্বের সব ব্যর্থতাকে কবর দিতে। শুরু করেছিলো স্বপ্নের মতো, গতবারের শত্রু স্পেন ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। কিন্তু এবারও পাল্টালো না ডাচদের ভাগ্যলিখন। সেমিতে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটে হেরে আবারও শূন্য হাতেই বিদায় নিতে হলো টোটাল ফুটবলের দেশটিকে।
গতিদানব আরিয়েন রোবেন, ফ্লাইং ডাচম্যান ফন পার্সি পারলেন না ডাচদের হতাশার বৃত্ত থেকে বের করতে। বারবার বিশ্বকাপে এসে দারুণ শুরু করেও খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় ভাগ্যাহত ডাচদের।
আর পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে পেনাল্টিতে গোলবঞ্চিত হওয়া ডিফেন্ডার রন ভ্লারের মতো তাদের প্রতিবারই বলতে হয়, ‘এটা বেদনাদায়ক, আমাদের স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৪