ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে শেখ রাসেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৬
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে শেখ রাসেল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ফেডারেশন কাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আর এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল রয়্যাল ব্লুজ শিবির।

 

আর শেখ রাসেলের কাছে হেরেও দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মুক্তিযোদ্ধা। তবে পরিতাপের বিষয় হলো এই গ্রুপ থেকে দুই ম্যাচে এক হার ও এক ড্র’তে ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিয়েছে এবারের স্বাধীনতা কাপে শিরোপাজয়ী দল চট্টগ্রাম আবাহনী।
 
এর আগে বুধবার (১৫ জুন) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিক অফের শুরুর থেকেই দারুণ গোছালো ও আক্রমনাত্মক খেলা উপহার দিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দলটির রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ ও আক্রমণ ভাগ সব বিভাগেই বেশ ইতিবাচক খেলা খেলেছে।

এমন ইতিবাচক খেলার ২৮ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা সীমানায় বেশ পরিচ্ছন্ন একটি আক্রমণ রচনা করে রয়্যাল ব্লু শিবির। আর সেই আক্রমণেই পিছিয়ে যায় লাল-সাদারা।

মাঝ মাঠ থেক বল নিজেদের পায়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সীমানায় গিয়ে দারুণ এক ক্রস তোলেন রাজু আর সেই ক্রস থেকে বল জালে জড়িয়ে শেখ রাসেলকে ১-০ তে এগিয়ে দেন দলটির ক্যামেরুন ডিফেন্ডার ইকাঙ্গা।

ইকাঙ্গার পর শেখ রাসেলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান শাহেদ। ৩২ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডি বক্স সীমানার প্রায় ৩০ গজ বাইরে থেকে সম্পুর্ণ একক প্রচেষ্টায় ডান পায়ের জোড়ালো শটে দলীয় ব্যবধান দ্বিগুন করেন এই শেখ রাসেল মিডফিল্ডার।

শাহেদের পর ব্যবধান বাড়ানোর দায়িত্ব নেন পল এমিলি। প্রথমার্ধ শেষের মাত্র ১ মিনিট আগে ইকাঙ্গার এগিয়ে দেয়া বল থেকে ব্যবধান ৩-০ তে বাড়িয়ে বিরতিতে যায় মারুফুল হকের শিষ্যরা।

তবে বিরতির পর খোলশ থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। আর সেই লক্ষ্যে ৫১ মিনিটে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে জালে বল জড়াতে চেয়েছিলেন আহমেদ কলো মুসা। কিন্তু ফিস্ট করে সেখানে প্রতিরোধ গড়েন গোলরক্ষক লিটন।

এরপর ৫৬ মিনিটে মুসা একক প্রচেষ্টায় দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঢুকেছিলেন শেখ রাসেলে ডি-বক্সের ভেতর। শট ও নিয়েছিলেন গোল বারে কিন্তু তাকে আবার ব্যর্থ করে দেন শেখ রাসেলের গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী রাসেল মাহমুদ লিটন।

দ্বিতীয়ার্ধে মুক্তিযোদ্ধার পর আক্রমণের দৌঁড়ে পিছিয়ে ছিলো না শেখ রাসেলও। ৩৮ মিনিট মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে পায়ের কৌশলী ছোঁয়ায় গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয় উঠিয়ে জালে পাঠাতে চেয়েছিলেন ইকাঙ্গা। কিন্তু গোলরক্ষক নাইম বলটিতে আঙ্গুলের আলতো ছোঁয়া দিলে বল দিক পরিবর্তন করে চলে যায় জালের বাইরে।

এরপর বাদবাকি সময় চেষ্টা করেও দু’দল আরও কোন গোলের দেখা না পেলে নির্ধারিত সময় শেষে ৩-০ এর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ১৫ জুন, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।