ঢাকা: ক্লাবের সেরা তারকাকে আইনি ও নৈতিক সমর্থন দিতে প্রস্তুত বার্সেলোনা। করফাঁকির মামলায় ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার পর লিওনেল মেসির যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
এক বিবৃতিতে বার্সা জানায়, ‘করফাঁকি মামলায় কারাদণ্ডের ব্যাপারে লিও মেসি ও তার বাবার জন্য সব ধরণের সহযোগিতা দেবে এফসি বার্সেলোনা। সরকারি প্রসিকিউশন সার্ভিসের সঙ্গে এই ক্লাবের চুক্তি আছে, স্প্যানিস কর অফিসের সঙ্গে খেলোয়াড় নিজের অবস্থান সংশোধন করলে তা বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে এই মামলায় অপরাধী হিসেবে দায়ী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেসি ও তার পরিবারের সমস্যাটি নিষ্পত্তিতে কাজ করে যাবে বার্সা। সে তার সততা ও আইনি স্বার্থ রক্ষায় যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন আমাদের তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে। ’
কারাদণ্ড ছাড়াও মেসিকে ২ মিলিয়ন ইউরো ও তার বাবাকে ১.৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা পরিশোধেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারের জরিমানার অঙ্কটা তার ছয় সপ্তাহের বেতনের সমান।
স্প্যানিশ আইন অনুযায়ী, অহিংস অপরাধ ও কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকায় দুই বছরের কম কারাদণ্ডের ফলে মেসি ও তার বাবাকে একদিনের জন্যও হয়তো জেলে যেতে হচ্ছে না। দু’জনই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না মেসির। গত মাসে চিলির বিপক্ষে শতবর্ষী কোপাআমেরিকার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের পর মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসেন বার্সা তারকা। এবার কর ফাঁকির মামলায় ফেঁসে গেছেন পাঁচবারে রব্যালনডি’অর জয়ী!
২০০৭ থেকে ২০০৯ এসময়ে ৪.১ মিলিয়ন ইউরো কর ফাঁকির জন্য মেসি ও হোর্সে মেসিকে অভিযুক্ত করে স্প্যানিশ কর অফিস। এরপর তা আদালতে গড়ায়। ছবি স্বত্বও বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর চুক্তি বাবদ আয়ের অর্থের ওপর কর পরিশোধে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্তসহ কয়েক দফা শুনানির পর অবশেষে রায় ঘোষণাও হয়ে গেল।
মেসি বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। সব কিছু নাকি তার বাবা দেখভাল করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দু’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করে প্রায় দু’বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালতের বিচারক প্যানেল।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৬
এমআরএম
** কর ফাঁকির মামলায় মেসির ২১ মাসের জেল