ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ইউরো শিরোপায় ফ্রান্স-পর্তুগালের জমাট লড়াই

সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
ইউরো শিরোপায় ফ্রান্স-পর্তুগালের জমাট লড়াই

ঢাকা: ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ছন্দময় ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল। ২০০৪ সালের আসরের ফাইনালে গ্রিকদের কাছে শিরোপা হারিয়ে অঝরে কেঁদেছিলেন ১৯ বছর বয়সী রোনালদো।

সেই অধরা শিরোপার হাতছানি এবার পরিণত রোনালদোর সামনে।

কিন্তু সেবারের গ্রিসের চেয়ে এবারের প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের বাধা আরও বেশি কঠিন। দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলতি আসরের ফাইনালে পৌঁছেছে। পক্ষান্তরে ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা পুরো আসরে কেবল একটি ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় জয় তুলে নিতে পেরেছে। সেমিফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষের সেই ম্যাচটিই তাদের উজ্জ্বলতম ম্যাচ।

দু’দলের পরিসংখ্যানে অনেকটাই এগিয়ে গ্রিজম্যান-পগবা-পায়েটদের ছন্দময় ফ্রান্স। পর্তুগালের বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ম্যাচের তিনটিতে জয়ী হয়েছে লা ব্লুজরা। চলতি আসরের শিরোপাটিও ঘরে তুলে নিতে পারলে জার্মানি ও স্পেনের উচ্চতায় উঠে যাবে ফরাসিরা। সর্বোচ্চ তিনবার ইউরো সেরার মুকুট পরবে তারা।

অন্যদিকে ইউরোপ ও বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় রোনালদোর নেতৃত্বে বেশকিছু তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলারের সমন্বয়ে দল সাজিয়েছেন কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। রেনাতো সানচেজ ও জোয়াও মারিও নিজেদের প্রতিভার প্রমাণ দিয়ে রোনালদোর সঙ্গে নান্দনিক জুটি গড়ে তুলতে পারলে পর্তুগাল রুখে দিতে পারবে অপ্রতিরোধ্য ফ্রান্সকে। এমনই আশা করছেন দলটির কোচ।

পর্তুগালকে প্রথমবারের মতো ইউরোর শিরোপা এনে দিতে পারলে রোনালদো উঠে যাবেন দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার ইউসেবিওর কাতারে। চলতি আসরে ফ্রান্সের কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনির সর্বোচ্চ ৯ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন এই পর্তুগিজ। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আর একটি মাত্র গোল করতে পারলেই ইউরোর ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন রোনালদো।

অন্যদিকে চলতি আসরের সেরা তারকা অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান ৬ গোল করে গোল্ডেন বুট অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালেদো করেছেন তিন গোল। কয়েক মাস আগেই রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা হারানোর ক্ষত এখনও পুষে রেখেছেন গ্রিজম্যান। ইটের জবাব পাটকেলে দেবার জন্য হয়তো তিনি বেছে নেবেন আজকের রাতটিকেই! রোববার (১০ জুলাই) ফ্রান্সের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে।

পরিসংখ্যানে ফ্রান্স-পর্তুগাল:
* কোনো বড় আসরে চতুর্থবারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফ্রান্স ও পর্তুগাল। সবশেষ তিনবার জয় তুলে নিয়েছে ফরাসিরা। ১৯৮৪, ২০০০ ও ২০০৬ ইউরোর সেমিফাইনালে পর্তুগালকে বিদায় নিতে হয়েছে এই একই প্রতিপক্ষের কাছে।

* সবশেষ দশ সাক্ষাতের দশটিতেই জয় পেয়েছে ফ্রান্স। সবশেষ চার সাক্ষাতে মাত্র একবার ফ্রান্সের জাল খুঁজে পেয়েছে পর্তুগিজরা; ২০১৪ সালে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেছিলেন রিকার্ডো কুয়ারেসমা।

* মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৯ গোলের মালিকই শুধু নন রোনালদো একইসঙ্গে ‌ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছেন তিনি (২০টি)।

* কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক সবশেষ ১৩ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে পর্তুগাল (৯ জয়, ৪ ড্র)। এরমধ্যে চলতি আসরের সেমিফাইনালেই কেবল এক গোলের বেশি ব্যবধানে জয়ী হতে পেরেছে সান্তোসের শিষ্যরা।

* ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বের সবশেষ ৫ ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করেছে পর্তুগাল।

* ঘরের মাঠে আয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ কোনো আসরের টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে ফ্রান্স (১৬ জয়, ২ ড্র)। সবশেষ ১৯৬০ সালে চেকপ্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ইউরোতে ঘরের মাঠে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল ফরাসিরা।

* চলতি আসরের মুকুট ছিনিয়ে নিতে পারলে জার্মানি ও স্পেনের সঙ্গে সর্বোচ্চ তিনবার ইউরো জয়ের রেকর্ড গড়বে ফ্রান্স।

* ফ্রান্সকে এবারের আসরের শিরোপা এনে দিতে পারলে দিদিয়ের দেশাম হবেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে ইউরোর মুকুট পরেছেন। বর্তমানে এই রেকর্ড রয়েছে এককভাবে জার্মানির বার্তি ভোগৎসের দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।