ঢাকা: ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ইতোমধ্যেই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ইউনাই এমেরি। যার হাত ধরে টানা তিনবার উয়েফা ইউরোপা লিগের শিরোপা ঘরে তোলে সেভিয়া।
এমেরির চোখে, ফুটবল বিশ্বের সেরা কোচদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন জিদান। খেলোয়াড়ী জীবনের (২০০১-০২) পর কোচ হিসেবেও রিয়ালের হয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট উঁচিয়ে ধরেন ফ্রেঞ্চ আইকন। ২০১৫-১৬ মৌসুমে তার অধীনে ১১তম চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা উৎসবে মাতে গ্যালাকটিকোরা।
কোচের দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে লস ব্লাঙ্কসদের এমন অভাবনীয় সাফল্য এনে দেন জিদান। গত বছরের জানুয়ারিতে রাফা বেনিতেজের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ৯৮’র বিশ্বকাপ জয়ী।
লা লিগার শিরোপা দৌড়ে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বার্সেলোনার সঙ্গে সমানতালে লড়ে রিয়াল। এক পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়ে মৌসুম শেষ করে তারা। বলা চলে, জিদানের জাদুকরি স্পর্শে আরো শক্তিশালী রূপে ফেরেন রোনালদো-বেল-বেনজেমারা।
নতুন মৌসুম শুরুর আগে প্রাক মৌসুমের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে (আইসিসি) অংশ নিচ্ছে পিএসজি। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ ও লিচেস্টার সিটি।
এ উপলক্ষ্যে এক প্রেস কনফারেন্সে জিদানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন এমেরি, ‘রিয়াল মাদ্রিদের এতো নাম কারণ ক্লাব হিসেবে তাদের ইতিহাস এবং জিদানের পরিচয়ের মূল দিক সে ছিল গ্রেট ফুটবলার। যুক্তিগতভাবে, সবকিছু কোচিং ভূমিকায় প্রয়োগ করাটা সহজ নয় এবং প্রথম চ্যালেঞ্জেই জিদানের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ই প্রমাণ করে খেলোয়াড় হিসেবে তার অর্জন কোচিং পেশাতেও অব্যাহত। ’
‘সে রিয়াল মাদ্রিদের মতো গ্রেট ক্লাবের দায়িত্বে। যা বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব। জিদান ছিল বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন এবং এরই মধ্যে যা অর্জন করেছে তাতে সে এখন সম্ভবত বিশ্বের সেরা কোচদের মধ্যে অন্যতম। ’-যোগ করেন পিএসজি কোচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৬
এমআরএম