রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে: ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্ব। কিন্তু উদ্বোধনী এ ম্যাচের সংবাদ কাভার করতে এসে রীতিমতো ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে মিডিয়া কর্মীদের।
বেশিরভাগ দায়িত্বশীল মিডিয়ার সংবাদকর্মীকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য বরাদ্দকৃত পাস দেয়া হয়নি। ফলে স্টেডিয়ামে প্রবেশেই সংবাদকর্মীদের গলদঘর্ম হতে হয়। প্রবেশের পর আবার কথিত মিডিয়া বক্সে বসার জন্য চেয়ার না থাকায় বেশিরভাগ সংবাদকর্মীকেই দাঁড়িয়ে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়।
এসব ঘটনায় সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) হেড অব মিডিয়া এহসান আহমেদ অমিত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরীর একগুয়েমী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে চরম ক্ষোভ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (০৫ আগষ্ট) বিকেলে এসব দৃশ্যপটের অবতারণা হয়। তবে এসব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উল্টো মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন বাফুফের হেড অব মিডিয়া এহসান আহমেদ অমিত।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, বিপিএল’র ময়মনসিংহ পর্ব শুরুর আগের দিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকির উপস্থিতিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সংগ্রহ করতে নিজের ইমেইল অ্যাড্রেস ও প্রয়োজনীয় ছবি, ভোটার আইডি কার্ড দিতে বলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) হেড অব মিডিয়া এহসান আহমেদ অমিত।
সেই অনুযায়ী সংবাদকর্মীরা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত তার ইমেইলে পাঠালেও ম্যাচ শুরুর আগে দুপুর থেকে তিনি সংবাদকর্মীদের মুঠোফোন ধরা থেকে বিরত থাকেন।
এরপর পুলিশের সহায়তায় সংবাদকর্মীরা স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কার্ড ইস্যু হয়নি। কিছু কমপ্লিট হয়েছে। তাদেরকে দেয়া হয়েছে। বাকিদেরটাও দেয়া হবে। ’
কিন্তু কেন কার্ড ইস্যু হয়নি এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্বভাবসুলভ অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করে দেন। এ সময় তিনি স্থানীয় কয়েক সংবাদকর্মীর তোপের মুখেও পড়ে কথিত মিডিয়া বক্স থেকে চম্পট দেন।
ইত্তেফাক ও চ্যানেল আইয়ের সংবাদকর্মী শেখ মহিউদ্দিন এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাফুফে সঠিক সময়ে কার্ড সরবরাহ করতে না পেরে নিজেদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আবেদন করার পরেও প্রথম সারির মিডিয়া কর্মীরা কার্ড পায়নি। ’
এদিকে, কথিত প্রেস বক্সেও জেলা ক্রীড়া সংস্থার অগোছালো ও অব্যবস্থাপনার দৈন্যতা ফুটে উঠে। হাতেগোনা কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল এখানে রাখা হলেও বেশিরভাগ সংবাদকর্মীই দাঁড়িয়ে থেকে নিজের প্রয়োজনের তাগিদেই সংবাদ সংগ্রহ করেন।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাব ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক মো: শামসুল আলম খান বলেন, ‘এতো বড় একটি আয়োজন অথচ সংবাদকর্মীদের অ্যাক্রিডেটশন কার্ড থেকে শুরু করে বসার জন্যও কোনো জায়গা রাখা হয়নি। জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময় ১৭০০ ঘণ্টা, আগষ্ট ০৫, ২০১৬
এমআরপি