ঢাকা: একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে দু’বার ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়ের মুকুট জিতেছেন। কিন্তু এবার তিনজনের চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা হয়নি লিওনেল মেসির।
উয়েফার এমন সিদ্ধান্তে বার্সা খুবই হতাশ ও রাগান্বিত বলেই জানিয়েছেন কাতালানদের ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্ডি মেস্ত্রে। মেসি-সুয়ারেজকে উপেক্ষা করাকে মানহানিকর হিসেবেই দেখেছেন তিনি।
‘উয়েফা বেস্ট প্লেয়ার ইন ইউরোপ অ্যাওয়ার্ড’ জয়ের দৌড়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সেরা তিনে জায়গা পেয়েছেন গ্যারেথ বেল ও অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান। লুইস সুয়ারেজের পেছনে থেকে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি।
২০১০-১১ মৌসুম থেকে এ পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারই সেরার খেতাব জেতেন মেসি। সবশেষ ২০১৪-১৫ মৌসুমেও সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন বিশ্ব ফুটবলের এ ক্ষুদে জাদুকর। একবার করে ইউরোপ সেরা হন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও রোনালদো।
মেসি-সুয়ারেজের ‘অবমূল্যায়নে’ ক্ষোভই ঝরেছে জর্ডি মেস্ত্রের কণ্ঠে, ‘এটা আমার কাছে সঠিক সিদ্ধান্ত মনে হয়নি। আমি জানি না উয়েফা কোন মানদণ্ড প্রয়োগ করেছে। চূড়ান্ত তালিকায় যাদের বাছাই করা হয়েছে তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমি উয়েফার পছন্দের সঙ্গে একমত নই। ’
‘আমাদের খেলোয়াড়রা এখানে নেই, সুয়ারেজ অথবা মেসি না খাকাটা মানহানিকর। ক্লাব খুবই হতাশ ও ক্রুদ্ধ। ’-যোগ করেন বার্সা ভাইস প্রেসিডেন্ট।
২০১৫-১৬ মৌসুমে লা লিগা ও কোপা দেল রের শিরোপা ধরে রাখার পেছনে বার্সাকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন মেসি ও সুয়ারেজ। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪১টি (লিগে ২৬) গোল করেন আর্জেন্টাইন আকইন। আর লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের (৪০) আসনে বসেন উরুগুইয়ান তারকা। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান ৫৯ বার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০১৬
এমআরএম