ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ফুটবল ফ্যান পেইজের ওপর মামুনুলের গুরুত্বারোপ

মহিবুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
ফুটবল ফ্যান পেইজের ওপর মামুনুলের গুরুত্বারোপ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-ফাইল ফটো

ঢাকা: ফুটবলে দর্শক ফেরানোর উদ্দেশ্যে গেল ২৪ জুলাই চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ভিন্ন আঙ্গিকে গড়িয়েছে জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। দেখতে দেখতে এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা।


 
ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত দেশের ভিন্ন ভিন্ন তিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম তিন রাউন্ডের পর চতুর্থ ও পঞ্চম রাউন্ড ময়মনসিংহে এরপর ষষ্ঠ রাউন্ডের ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়।
 
প্রিমিয়ার ফুটবলের এবারের আসরের ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে মাঠে দর্শক ফেরানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কতটুকু সফল হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু ও চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কাছে।
 
এ প্রসঙ্গে রুপু জানান, ‘ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে দর্শক সমাগম বেশি ছিল। তবে সবকটি ম্যাচে যে স্টেডিয়াম ভরে গেছে সেটা কিন্তু না। তারপরেও যাই ছিল ঢাকার চেয়ে বেশি। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের মধ্যে তুলনা করলে দেখা যাবে চট্টগ্রামেই বেশি। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা বেশি হওয়ায় মোট দর্শক কম মনে হয়েছে। অন্যদিকে, ময়মনসিংহের স্টেডিয়াম ছোট হওয়ায় মনে হয়েছে মাঠ ভরে গেছে। ’
 
ফুটবল ফেডারেশন চেষ্টা করছে ফুটবল মাঠে দর্শক ফিরিয়ে আনতে। প্রিমিয়ার লিগের মাত্র ৬ রাউন্ড শেষ হলো। সফলতা-ব্যর্থতা মাপার সময় এখনও আসেনি। তবে ঢাকায় রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচে বেশ কিছু দর্শক হয়েছে। আশা করছি সামনে আরও দর্শক আসবে। ফুটবল ফেডারেশন আন্তরিকভাবেই চেষ্টা করছে। তবে দর্শক হয়তো আরও বেশি হবে যদি প্লেয়াররা আরও ভাল খেলা উপহার দেয়। ’        
 
এদিকে, চট্টগ্রাম আবাহনী অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বললেন অন্য কথা। মাঠে দর্শক ফেরাতে তিনি মত দিলেন প্রতিটি জেলায় দল থাকার ব্যাপারে। আরও একটি বিষয়ের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করলেন আর সেটি হল ফেসবুকে বাংলাদেশ ফুটবল ও ক্লাবগুলোর ফ্যান পেইজ খোলার উপরে।

‘সবচেয়ে ভাল হতো যদি প্রতিটি জেলায় দল থাকতো। এতে করে স্টেডিয়াম আরও বেশি পরিপূর্ণ থাকতো। ধরেন ময়মনসিংহের কোনো দল নেই। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর নিজস্ব দল থাকায় প্রতিটি ম্যাচেই প্রায় ১০ হাজার দর্শক থাকতো। ময়মনসিংহে আমি যেটা দেখছি সেটা হলো ছুটির দিনে দর্শক যেত। তারপরেও আমি বলবো এটা একটির ইতিবাচক দিক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা হচ্ছে, প্লেয়াররা পারফর্ম করছে। লিগ টেবিল দেখলে বোঝা যায়, খেলা কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। ’
 
সঙ্গতই বলেছেন মামুনুল। কেননা জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ‍ফুটবলে ছয় ম্যাচ শেষে টেবিলের প্রথম চার দলের পয়েন্টেই ১২। এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, এবারে লিগ কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে।  
 
‘মানুষের ব্যস্ততা আমাদের বুঝতে হবে। তারা কিন্তু কাজ রেখে আমাদের খেলা দেখতে আসবে না। তবে ভাল বিষয় হলো, এর মধ্য দিয়েই আমাদের খেলা দেখতে তারা মাঠে আসছে এবং এটা নিঃসন্দেহে ভাল দিক। এর ধারাবাহিকতা থাকলে দর্শকসংখ্যা কমবে না। এটা নিয়ে প্রচার প্রচারণা সহ ফুটবল ফ্যান পেইজসহ প্রতিটি ক্লাবের ফ্যান পেইজ তৈরী হলে দর্শকসংখ্যা আরও বাড়বে। ঢাকা ফুটবলের মূল কেন্দ্র হওয়ায় খেলা যখনই ঢাকার বাইরে যায় তখনই মানুষ প্লেয়ারদের খুব কাছে থেকে দেখতে মাঠে যায়। ’-যোগ করেন মামুনুল।
 
চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের তুলনায় ঢাকার মাঠে দর্শক কম কেন? উত্তরে মামুনুল জানালেন, ‘দেখেন ঢাকা ব্যস্ত শহর। সবাই কাজে ব্যস্ত। তবে আমার মনে হয়, ভালো ম্যাচ হলে মানুষ মাঠে এসেই খেলা দেখে। যেমন ধরেন ১৯ আগস্ট রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচে যে পরিমান দর্শক সমাগম হয়েছে তা গত দুই বছরেও দেখা যায়নি। ’
 
মামুনুলের কথার অর্থ হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গুণগত মানসম্পন্ন ম্যাচ হলেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মাঠে দর্শক ফেরানোর প্রচেষ্টা সফল হবে।
    
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট ২০১৬
এইচএল/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।