নতুনভাবে জেগে ওঠা এই ক্লাবটিই আগামী ২১ জানুয়ারি ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে। তবে, নতুন চুক্তি করানো ২০ ফুটবলার নিয়ে মাঠে প্রবেশ করবে শাপেকোয়েনসে।
গত ২৮ নভেম্বর বিমান বিধ্বস্ত হয়ে শাপেকোয়েনসের ১৯ সদস্যসহ ৭১ জন মারা যান। বেঁচে থাকেন শুধু তিনজন খেলোয়াড়। ডিফেন্ডার অ্যালান রুশেল, গোলরক্ষক জ্যাকসন ফোলম্যান ও সেন্টার-ব্যাক হেলিও নেতো বেঁচে আছেন। তবে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, নেতো ও রুশেলের পুনরায় ক্লাবের জার্সি গায়ে জড়ানোর আশা আছে। আর ফোলম্যানের একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে।
ক্লাবের পরিচালক রুই কস্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা অনেক ঋণের বিনিময়ে পুনর্গঠনের কাজ করেছি। অনেক ক্লাব আমাদের সঙ্গে অংশীদার হচ্ছে। এটা বাজেট আর গতির সঙ্গে এগিয়ে চলবে। ’
আগামী ২১ জানুয়ারি শাপেকোর প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং লিগ চ্যাম্পিয়ন পালমেইরাস। প্রীতি এই ম্যাচের পর আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ খেলবে ক্লাবটি। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ স্থানীয় ক্লাব জইনভিলে।
দুর্ঘটনার পর সম্মাননা হিসেবে শাপেকোয়েনসকে সুদামেরিকানের শিরোপা দেয় দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন, কনমেবোল।
বিমান দুর্ঘটনায় ফুটবলার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ক্লাবের চিরাচরিত লোগো-তে দুটি পরিবতর্ন আনছে তারা।
ক্লাবের অন্তবর্তীকালীন ম্যানেজার ইভান তোজো জানান, ‘আমরা সব ফেডারেশনের সমর্থন পেয়েছি। ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা, সিবিএফ; কমমেবল আর ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ফিফার কাছ থেকে আমরা সমর্থন পেয়েছি। বিশেষ করে আমাদের খুব কাছে থেকে সমর্থন দিয়েছে শাপেকোর জনগন। আমরা এখন আবারো নতুন একটি দল গড়েছি। শাপেকোর মানুষ ফুটবলকে ভালোবাসে, ফুটবলকে মন থেকে চায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ০৬ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি