সেই সঙ্গে ৪-৩ গোলের অ্যাগ্রিগেটে আসরটির কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো কাতালানরা। প্রথম লেগে বিলবাওয়ের মাঠে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল বার্সা।
ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে বুধবার রাতে বিলবাওকে আতিথিয়েতা জানায় বার্সা। এরই লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন স্বাগতিকরা। খুব দ্রুত একটি গোলও পেয়ে যায়। কিন্তু লুইস সুয়ারেজের করা গোলটি রেফারি বাতিল করে দেন।
গোলটি বাতিল করলেও হাল ছাড়েননি উরুগুয়ে স্ট্রাইকার। খেলার ৩৫ মিনিটে বাঁদিক থেকে নেইমারের ক্রসে দারুণ এক ভ্যলির মাধ্যমে গোল করে বার্সার লিড এনে দেন তিনি। এই গোলটি আবার লিভারপুলের সাবেক তারকার বার্সার হয়ে মাইলফলক ১০০তম গোল। পরে ১-০ গোলে লিড নিয়েই বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড বাড়ায় বার্সা। ৪৮ মিনিটে ফাউল থেকে পাওয়া পেনাল্টির মাধ্যমে স্কোর ২-০ করেন ব্রাজিল তারকা নেইমার। কাতালানদের হয়ে দীর্ঘদিন পর গোলের দেখা পেলেন তিনি। কিন্তু তিন মিনিট পরেই বিলবাওয়ের ফুটবলার সাবোরিট হেডের মাধ্যমে অসাধারণ এক গোল করে বার্সার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান।
কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে বার্সাকে এ ম্যাচে অন্তত ২-০ গোলে জিততে হতো। তাই আক্রমণের ধারা আরও বাড়িয়ে দেয় দলটি। আর দলের ত্রানকর্তা হয়ে আবার এগিয়ে আসে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি। ৭৮ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে নেইমারকে ফাউল করলে রেফারি ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান। সেই ফ্রি-কিকে বিপক্ষের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে দুর্দান্ত গোলটি করে তিনি।
এমএসএন ত্রয়ীর এ নিয়ে মোট গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০০তে। ২০১৪ সাল থেকে তারা তিনজন এক সঙ্গে খেলছেন। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানের জয় ও ৪-৩ অ্যাগ্রিগেটে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে এনরিক শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, ১২ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস