রিভালদো কাজ করবেন বার্সার লিজেন্ড প্রকল্পে (এফসিবি লিজেন্ড প্রজেক্ট)। এই প্রকল্পের অধীনে রিভালদোর মতো কাতালানদের সাবেক ফুটবলাররা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবেন।
সম্প্রতি ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ আর ভাইস প্রেসিডেন্ট জরদি মেস্ত্রের সঙ্গে আলোচনা করে চুক্তিতে সাক্ষর করেন রিভালদো।
সাম্বার দেশের কিংবদন্তি এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মাঠে নেমেছিলেন ‘ম্যাজিক অব বার্সা’ ম্যাচে অংশ নিতে। সারা বিশ্বের বার্সার সুপারফ্যানদের নিয়ে গঠিত দুটি দলের একটিতে খেলেছেন ৪৪ বছর বয়সী রিভালদো। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে দেখিয়েছেন পায়ের দুর্দান্ত কারুকার্য। পিছিয়ে পড়া দলের হয়ে মাঠে নেমে গোল না করলেও সতীর্থদের বল বানিয়ে দিয়েছেন ডিফেন্স চেড়া পাস দিয়ে, জিতিয়েছেন দলকে। ফলে, ম্যাচ শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয় রিভালদোকে।
তবে, মাঠে খেলার সময় রিভালদোকে চিনতে পারেননি সতীর্থ কিংবা প্রতিপক্ষের কোনো ফুটবলার। কারণ, ম্যাচের আগে নকল দাঁড়ি-গোফ লাগিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ম্যান অব দ্য ম্যাচের ঘোষণার পর নকল দাঁড়ি-গোফ খুললে কিংবদন্তি এই ফুটবলারকে দেখে বার্সার সুপারফ্যানরা রীতিমতো অবাক হয়ে যান।
সাবেক এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার বার্সার হয়ে খেলেছেন ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত। ক্লাবের হয়ে ৫৭৩ ম্যাচ খেলা রিভালদো বার্সার হয়ে খেলেছেন ১৫৭ ম্যাচ। প্রথম মৌসুমেই বার্সার জার্সি গায়ে জিতেছেন উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা। দুইবার লা লিগা, একবার কোপা দেল রে’র শিরোপাও জিতেছেন কাতালানদের হয়ে।
ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ৭৪ ম্যাচ। দেশকে বিশ্বকাপও পাইয়ে দিয়েছেন। কনফেডারেশন কাপ ও কোপা আমেরিকাতেও রিভালদো সেলেকাওদের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। ১৯৯৯ সালে জিতেছিলেন ব্যালন ডি’অর।
১৪ বছর পর আবারো ন্যু ক্যাম্পে ফিরেছেন রিভালদো। বার্সার সঙ্গে আবার কাজ করার সুযোগে দারুণ উচ্ছ্বসিত রিভালদো জানান, ‘যখনই ন্যু ক্যাম্পে আসি, তখনই আমার খুব ভালো লাগে। এই ক্লাবে পাঁচ মৌসুম কাটিয়েছি। সময়টা সত্যিই স্মরণীয়। এই ক্লাবটি সব সময়ই আমার হৃদয়ের অংশ। যে কোনো প্রয়োজনে কাতালান ক্লাবটির সঙ্গে থাকতে চাই। ’
ভিডিও:
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি