বার্সার এই জয়টি দলটির কাছে প্র্রতিশোধেরও ছিল। কারণ লিগে প্রধম লেগে বার্সার মাঠ ক্যাম্প ন্যু’তে ছোট দলটি ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে ফিরেছিল।
এদিন প্রথমার্ধ থেকে দ্বিতীয়ার্ধ বেশি ভয়ঙ্কর ছিল বার্সা। কেননা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আট মিনিটের মধ্যেই চারটি গোল করে বসে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোলের সূচনা করেন সুয়ারেজ। তবে তিন মিনিট পরেই লিড দ্বিগুন করেন নেইমার। আর ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে গোল করেন লিওনেল মেসি। তবে চার মিনিট পরেই প্রতিপক্ষের অ্যালেক্সিসের আত্মঘাতি গোলে বার্সার স্কোর লাইন দাঁড়ায় ৪-০তে। সুয়ারেজের পাসে ৬৫ মিনিটে গোল করেন রাকিটিচ।
দুই মিনিট পরে সুয়ারেজ বল বাড়িয়ে দেন নেইমারের দিকে। ব্রাজিলিয়ান তারকা শটও করেন কিন্তু গোলরক্ষক সেভ করলে বলটি ফেরত আসে। আর সেখান থেকেই নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।
ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে শেষ পর্যন্ত ৬-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিক শিষ্যরা। আর এ জয়ের ফলে ২২ ম্যাচে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল বার্সা। তবে পরের ম্যাচ জিতেই ২০ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আবারও শীর্ষে উঠে গেল রিয়াল।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস