ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

ফুটবল

প্রত্যাশা পূরণে তাড়াহুড়ো নেই নেইমারের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৭
প্রত্যাশা পূরণে তাড়াহুড়ো নেই নেইমারের ছবি: সংগৃহীত

বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের প্রত্যাশা থাকে প্রতিটি খেলোয়াড়ের মাঝেই। তেমনটি রয়েছে বার্সেলোনা তারকা নেইমারেরও। তবে এটি জিততে না পারলেও কোনো সমস্যা দেখছেন না ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন। স্বপ্ন পূরণে কোনোরকম তাড়াহুড়ো করতে চান না ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।

নেইমার জানান, ‘বার্সেলোনায় আমি খুবই খুশি। এখানের জীবনধারা ও সতীর্থ সবই অসাধারণ।

অবশ্যই ব্যালন ডি’অর জেতা আমার স্বপ্ন। তবে এটার জন্য আমাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। একটা লক্ষ্য স্থির করে এগুতে হবে। আমি কোনোরকম তাড়াহুড়ো করতে চাই না। ’

তরুণ এ তারকা আরও বলেন, ‘আমি পুরস্কারের জন্য ফুটবল খেলি না। আমি ফুটবল খেলি তৃপ্তির জন্য, কারণ আমি এটাকেই ভালোবাসি। ব্যালন ডি’অর জয়টা হচ্ছে কাজের ধারাবাহিক সাফল্য। ’

২০০৭ সালের পর থেকে মেসি কিংবা রোনালদো জিতেছেন এই পুরস্কার। মেসি-রোনালদোকে বাদ দিলে সম্ভাব্য নামের তালিকায় এক নম্বরেই থাকবে ব্রাজিল সেনসেশন নেইমারের নাম। ২০০৭ সালে ব্যালন ডি'অর খেতাব জিতেছিলেন ব্রাজিলের কাকা। এরপর থেকেই ফিফা বর্ষসেরার ট্রফিতে মেসি ও রোনালদোর আধিপত্য। ২০০৭ সালেও ছিল মেসি-রোনালদোর নাম। ২০০৮ সালে জিতেছেন রোনালদো। ২০০৯, ২০১০, ২০১১ আর ২০১২ সালে টানা চারবার রোনালদোকে টপকে জিতেছেন মেসি। ২০১৩ ও ২০১৪’তে মেসিকে টপকে এই পুরস্কার জেতেন রোনালদো। ২০১৫ সালে রোনালদোকে হারিয়ে মেসির ঘরে যায় পুরস্কারটি। গতবার সেটি আবারো পুনরুদ্ধার করেন রোনালদো। মাঝে শুধু ২০১০ সালে শীর্ষ তিনে ছিলেন না রোনালদো। মেসি ছিলেন ২০০৭ সালের পর থেকেই।

মেসি-রোনালদোর দাপটে সোনালি এই ট্রফিটি স্বপ্ন হয়ে থেকে গেছে বাকিদের জন্য। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্যালন ডি’অরের শীর্ষ তিনে আসেন নেইমার। তবে, স্পর্শ করা হয়নি সোনালি বলের সেই ট্রফিটি।

পর পর টানা ৯ বার নেইমারের মতো অন্যদের লড়াই যেন শুধু সেরা তিনে থাকার। মেসি-রোনালদোর রাজত্বে হানা দেবেন নেইমার, এমন বিশ্বাস বিশ্ব ফুটবলের। ২০১৩ সালে সান্তোস ছেড়ে বার্সায় নাম লেখানোর পর থেকে দলটির আক্রমণভাগের অন্যতম মূল খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন নেইমার। ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন এই বার্সা তারকা। তিনি আরও জানান, ‘আমি আমার সতীর্থ ও দলকে সাহায্য করতে চাই। সব কিছুই যখন আপনার সঠিক পথে এগুবো তখন ব্যক্তিগত পুরস্কার আসবেই। ’

সবার আগে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের টিকেট নিশ্চিত করেছে নেইমারের ব্রাজিল। জাতীয় দলের জার্সি গায়েও অপ্রতিরোধ্য এই তারকা। হলুদ জার্সিতে আদেমির, রোনালদিনহো, রিভালদো, বেবেতো, জিকোদের টপকে ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেইমার চার নম্বরে অবস্থান করছেন। ৭৭ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ৫২ বার। সর্বোচ্চ ৭৭ গোল করে শীর্ষে ৯২ ম্যাচ খেলে ব্রাজিলের জীবন্ত কিংবদন্তি পেলে। ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল করে দুইয়ে রোনালদো, ৭০ ম্যাচে ৫৫ গোল করে তিন নম্বরে রোমারিও। গত বছর ব্রাজিলকে অধরা অলিম্পিকের শিরোপা জিতিয়েছেন নেইমার।

ক্লাব ফুটবলে একের পর এক শিরোপার স্বাদও নিয়ে চলেছেন। ২০১৩ তে বার্সায় যোগ দিয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে করেছিলেন ৪১ ম্যাচে ১৫ গোল। পরের মৌসুমে ৫১ ম্যাচে করেছিলেন ৩৯ গোল। নিজের তৃতীয় মৌসুমে ৪৯ ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের জালে ৩১ বার বল জড়িয়েছেন। চলতি মৌসুমে ৩৫ ম্যাচ খেলে করেছেন আরও ১৪টি গোল। কাতালান ক্লাবটিতে ১৭৬ ম্যাচ খেলে নেইমারের গোলসংখ্যা ৯৯টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ০২ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।