ঢাকা, সোমবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

ফুটবল

১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দেমিচেলিস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দেমিচেলিস মার্টিন দেমিচেলিসকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে আর দেখা যাবে না/ছবি: সংগৃহীত

পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা ডিফেন্ডার মার্টিন দেমিচেলিস। এর মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য ১৭ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন ৩৬ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক।

‘শক্তি’ আর ‘একাগ্রতা’ হারিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেমিচেলিস। গত বছরের আগস্টে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে এসপানিওলে যোগ দিয়ে ফেরেন স্প্যানিশ লিগে।

গত জানুয়ারিতে মালাগায় প্রত্যাবর্তন হয়। সাবেক ক্লাবের হয়ে মৌসুমের অর্ধেক সময় খেলেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন।

নিজের অবসরের ঘোষণায় দেমিচেলিস বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে আমার ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করা, পেশাদারিত্ব ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা অব্যাহত রাখার জন্য সংকল্প প্রদানের জন্য মালাগার কাছে কৃতজ্ঞ। সব সময়ই ভেবেছি মালাগায় ক্যারিয়ার শেষ করাটা হবে স্বপ্নের মতো এবং আজ আমি তাই করেছি। ’

‘এটা জীবনের নিয়ম, আমার মধ্যে আর পায়ের শক্তি ও যে লেভেলের একাগ্রতা দরকার ‍তা নেই। ক্যারিয়ারের ইতি টানার দিন চলে এসেছে এবং আমি শুধুমাত্র ফুটবলকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ’-যোগ করেন দেমিচেলিস।

মালাগার হয়ে কোনো শিরোপা না জিতলেও সেখানে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় পার করেছেন বলেই মনে করেন দেমিচেলিস, ‘মালাগায় আমার প্রথম স্পেলে (২০১১-১৩) যা অর্জন করেছি তা ছিল গ্রেট। কোনো টাইটেল না জিতলেও এটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সময় ছিল। ’

বায়ার্নের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দেমিচেলিস, ‘আমাকে আট বছর দলে রাখায়, নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দেওয়ায় বায়ার্নকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সেখান থেকেই আমি ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হয়েছি। ’

২০০০ সালে স্বদেশী ক্লাব রিভার প্লেটের হয়ে পেশাদার ফুটবলে পা রাখেন দেমিচেলিস। ক্লাব ক্যারিয়ারে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের (২০০৩-১০) হয়ে লম্বা সময় খেলেছিলেন। তিন মৌসুম কাটান ম্যানসিটিতে।

২০০৫ সালে আর্জেন্টিনা দলে অভিষেক ঘটে। জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন দেমিচেলিস। আলবিসেলেস্তেদের জার্সিতে খেলেছেন ৫১টি ম্যাচ। কিন্তু, আক্ষেপ একটি শিরোপাও জিততে না পারার। ২০০৫ ফিফা কনফেডারেশন কাপ, ২০১৪ বিশ্বকাপ ও ২০১৫ কোপা আমেরিকার ফাইনালে গিয়েও স্বপ্নভঙ্গ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ১৫ মে, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।