কার্লো আনচেলত্তিকে অপসারণ করার পর অন্তর্বতীকালীন মেয়াদে চতুর্থবারের মতো বায়ার্নের ডাগআউটে ফেরেন ইয়ুপ হেইঙ্কেস। মৌসুম শেষে তার জায়গায় স্থায়ী হেড কোচ হিসেবে ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী জোয়ালির লোর নাম সাম্প্রতিক সময়ে জোরেশোরেই উচ্চারিত হয়।
ন্যাশনাল টিম ম্যানেজার অলিভার বিয়েরহফ এ মাসের শুরুতে বলেছিলেন, লোর অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় যাওয়াটা সম্ভব। যদিও পরবর্তীতে বায়ার্নের প্রচেষ্টায় বাধা দেওয়ার দিকটিতেও জোর দিয়েছেন।
ক্লাব কোচিংয়ে ফেরার সম্ভাবনায় নিজেকে দূরেই রাখছেন লো। এর পরিবর্তে জার্মানির সঙ্গে চুক্তিতে সম্মান রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেটির মেয়াদ ২০২০ ইউরো পর্যন্ত।
বায়ার্নের কোচ হওয়ার গুঞ্জন নিয়ে লোর ভাষ্য, ‘এটা মোটেও আমার বিবেচনার মধ্যে পড়ে না। আমি একসময় বলেছিলাম ক্লাবের কোচিং পরিকল্পনা করতে পারি কারণ আমি প্রতিদিন ট্রেনিং পছন্দ করি। বিশ্বকাপ আসছে এবং আমার চুক্তি ২০২০ পর্যন্ত। আমি ওয়ার্ল্ডকাপ ছাড়া কোনো কিছু ভাবছি না। ’
জার্মানির ফুটবল ইতিহাসে নিজেকে অন্যতম সেরা কোচের কাতারে নিয়ে গেছেন ৫৭ বছর বয়সী জোয়াকিম লো। তার অধীনে গত বছর ব্রাজিলে প্রথমবার বিশ্বসেরার মুকুট জয়ের উল্লাসে মাতে অবিভক্ত জার্মানি। ২০১৭ কনফেডারেশনস কাপ জিতে রাশিয়া বিশ্বকাপেও আগাম বার্তা দিয়ে রেখেছে লোর শিষ্যরা।
২০০৪ সালে জার্মান জাতীয় দলে সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন লো। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর জার্গেন ক্লিন্সম্যান চুক্তি নবায়ন না করায় প্রধান কোচের দায়িত্ব ওঠে তার কাঁধে। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১০ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান পায় জার্মানরা। লোর আক্ষেপ এখনো ইউরোর স্বাদ পাননি। ২০০৮ সালে রানার্সআপ ও পরের দু’বার (২০১২ ও ২০১৬) সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ইউরোপিয়ান ফুটবল পরাশক্তিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম