সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হওয়ায় (গোলশূন্য ড্র) ইতালিয়ান অধিনায়ক আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলে দেন, ‘ব্যর্থতার কালিমাপূর্ণ ম্যাচটিই ছিল দেশের হয়ে আমার শেষ খেলা’। এর মধ্য দিয়ে ইতি ঘটলো অলিভার কান পরবর্তী বিশ্বের সবচেয়ে নন্দিত ও জনপ্রিয় গোলরক্ষকের আন্তর্জাতিক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের।
বাছাইপর্বে ব্যর্থতায় পয়েন্ট তালিকার সমীকরণে বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য প্লে-অফ খেলতে হয় বুফনের নেতৃত্বাধীন ইতালিকে। তাদের প্রতিপক্ষ ছিল মাঝারিমানের দল সুইডেন। কিন্তু ১০ নভেম্বর স্টকহোমে প্রথম লেগে খেলতে গিয়ে ১-০ গোলে হেরে বসে দলটি।
এই অবস্থায় নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে ইতালির সামনে সমীকরণ দাঁড়ায়, বিশ্বকাপে যেতে হলে ২-০ গোলে জিততে হবে। কিন্তু সোমবার রাতে সফরের গোলটিও শোধ করতে না পারায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় বুফনদের।
ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার দুঃখে কেঁদে ফেলেন বুফন। কাঁদতে কাঁদতেই বিদায় বলেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে।
চোখের জল মুছতে মুছতে ১৯৯৭ থেকে প্রায় দু’দশক ইতালি জাতীয় দলে খেলা বুফন বলেন, ‘এটা সত্যিই হতাশার। আমার নিজের জন্য নয় (কান্না), আমাদের ফুটবলের জন্য খারাপ লাগছে। কারণ আমরা এমন কিছুতে হেরে গেছি, যেটা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটাই একমাত্র দুঃখ। আর আমি কেবল এজন্যই নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টানছি না, আসলে সময়ও অনেক গড়িয়েছে এবং এটাই সঠিক সময়। ’
‘এটা আসলে লজ্জার যে আমার শেষ আনুষ্ঠানিক ম্যাচটি বিশ্বকাপে উঠতে না পারার ব্যর্থতায় মিলে গেছে। তবে অবশ্যই ইতালির ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। যেমন রয়েছে আমাদের গৌরব, সামর্থ্য, একাগ্রতা। সবাই জানে আমরা বাজে সময় কাটিয়ে সবসময় নিজেদের পায়ে ফের দাঁড়াতে পারি। আমি ইতালি দল ছেড়ে যাচ্ছি। তবে এই দল অবশ্যই জানে, কীভাবে নিজেদের জন্য লড়তে হয়। ’
৩৯ বছর বয়সী বুফন ইতালির হয়ে মোট ১৭৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এরমধ্যে গড়েছেন পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডও। দুই দশকের ক্যারিয়ারে তিনি জিতেছেন ২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ফুটবলের মাঠে আর দেখা না গেলেও বুফন থাকবেন সিরিআ’র ক্লাব জুভেন্টাসের লড়াইয়ের ময়দানে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এইচএ
** বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি