২০০৯-১০ থেকে পরের চার মৌসুমে তিনবারই এই পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি। এরপর বিরতি যায়।
গতবারের বিজয়ী সতীর্থ সুয়ারেজের হাত থেকে সোনায় মোড়ানো জুতোটি নেওয়ার পর মেসি তার চারটি জুতো নিয়ে ছবি তুলেছেন। এ সময় অনুষ্ঠানে মেসির সঙ্গে যোগ দেন তার স্ত্রী ও বড় ছেলে থিয়াগো মেসি।
গতবার লা লিগায় ৩৭ গোল করে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে মেসি ছিলেন ইউরোপের সেরা গোলদাতা। এর আগে ২০০৯-১০ মৌসুমে ৩৪ গোল করে এই ট্রফি জিতেছিলেন তিনি। এরপর ২০১১-১২ মৌসুমে ৫০ গোল করে এই ট্রফিতে চুমু খান। ২০১২-১৩ মৌসুমে ৪৬টি গোল করে ইউরোপিয়ান লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন এই আইকন।
গত ৯ বছর ধরে ‘গোল্ডেন শু’র এই পুরস্কার মেসি, রোনালদো আর সুয়ারেজ কেউ না কেউ পাচ্ছেন। মেসির আগে এই পুরস্কার চারবার জিতেছেন কেবল রিয়াল তারকা রোনালদো। এবার এই পুরস্কারের দৌড়ে মেসির কাছাকাছি ছিলেন ডাচ স্ট্রাইকার বাস ডোস্ত। পর্তুগিজ লিগে স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে ৩৪টি গোল করেন তিনি।
৩১ গোল নিয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং। এক গোল কম নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার রবের্ত লেভানদোভস্কি আর ২৯ গোল নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিলেন গতবারের বিজয়ী মেসির বার্সা সতীর্থ সুয়ারেস। ২০০৮, ২০১১, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে গোল্ডেন সু জেতা রোনালদো গত মৌসুমে স্পেনের শীর্ষ লিগে করেন ২৫ গোল। জায়গা পাননি এই তালিকার শীর্ষ পাঁচে।
এই পুরস্কারটি দেয়া হয় ইউরোপিয়ান স্পোর্টস মিডিয়া, ইউরোপিয়ান স্পোর্টসের সহযোগী সংবাদমাধ্যম ও ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে। ইউরোপের সব লিগ মিলিয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে লিগ বিবেচনায় গোল প্রতি পয়েন্ট ভিন্ন থাকে। নিচু সারির লিগগুলোয় প্রতি গোলে ১.৫ এবং ১ পয়েন্ট বরাদ্দ হয়। শীর্ষ লিগগুলোর গোলের জন্য বরাদ্দ থাকে ২ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর ২০১৭
এমআরপি