ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

উদ্বোধনের আগেই ধ্বংসস্তূপ খুলনা জেলা স্টেডিয়াম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
উদ্বোধনের আগেই ধ্বংসস্তূপ খুলনা জেলা স্টেডিয়াম ভাঙচুরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া খুলনা জেলা স্টেডিয়াম/ছবি: মানজারুল ইসলাম

পরিপাটি, সুন্দর আধুনিক স্টেডিয়াম। রং করা, গ্লাস ফিটিংস সবই শেষ। মাঠের কাজ শেষ আরও আগে। শুধু খেলোয়াড় নয়, গোটা খুলনাবাসীর কাছেই কাঙ্ক্ষিত ছিল খুলনা জেলা স্টেডিয়াম। সেই আকাঙ্ক্ষা যখন পূরণের পথে ঠিক সেই সময় পড়লো ছেদ। নোংরা রাজনীতির আক্রোশের বলি হয়ে উদ্বোধনের আগেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো স্টেডিয়ামটি। 

খুলনা জেলা স্টেডিয়ামখুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্যদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে দ্বন্দ্বে জেলা স্টেডিয়াম ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। গোটা স্টেডিয়াম এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

গুলিবর্ষণ ও বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা দফায় দফায় নবনির্মিত এ স্টেডিয়ামে নির্মমভাবে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর ভোট গণনা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থীর দুজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বড় নেতা।

দুর্বৃত্তদের হামলায় ভাঙা জানালার কাচদুর্বৃত্তদের হামলায় ভাঙা জানালার কাচ। ভাঙচুরে সব মিলে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্টেডিয়াম ভবনের অধিকাংশ জানালা-দরজার থাই গ্লাস ও চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্টেডিয়াম ভবনের অধিকাংশ জানালা-দরজার থাই গ্লাস ও চেয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে।

স্টেডিয়াম ভবনের নিচতলার থাই গ্লাস ও চেয়ারে ভাঙচুরস্টেডিয়াম ভবনের নিচতলার থাই গ্লাস ও চেয়ারে ভাঙচুর।

অতর্কিত হামলায় রক্তাক্ত স্টেডিয়ামের মেঝেঅতর্কিত হামলায় রক্তাক্ত স্টেডিয়ামের মেঝে। এ ঘটনায় প্রায় ১০ জন আহত হন।

ভাঙচুরের সময় ছোটাছুটি করে বের হয়ে আসেন নেতাকর্মীরা।  এ সময় হামলাকারীরা স্টেডিয়ামের বাইরের চেয়ারও লণ্ডভণ্ড করে।  ভাঙচুরের সময় ছোটাছুটি করে বের হয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। এ সময় হামলাকারীরা স্টেডিয়ামের বাইরের চেয়ারও লণ্ডভণ্ড করে।  

স্টেডিয়ামের লকারও রেহাই পায়নি দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে।  স্টেডিয়ামের লকারও রেহাই পায়নি দুর্বৃত্তদের হামলা থেকে।  

ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা স্টেডিয়ামের থাই গ্লাস ও চেয়ার।
ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা স্টেডিয়ামের থাই গ্লাস ও চেয়ার
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। মোট ১৮৮৭ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান এবং সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে দু’টি প্যানেলের ২০ জন করে মোট ৪০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময় : ১১৩৫ ঘন্টা, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।