অন্যদিকে ম্যাচে গোল করার চেষ্টা না করে রক্ষণ সামলাতেই বেশি দেখা গেছে নিকো কোভাসিচের শিষ্যদের। তবে বায়ার্ন গোল না দিতে পারায় কিছুটা উপকারই হয়েছে ক্লপের শিষ্যদের।
চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে অ্যানফিল্ডে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচের ১২ মিনিটেই দারুণ সুযোগ পেয়ে যায় লিভারপুল। গোছানো আক্রমণ থেকে বল পেয়ে বায়ার্ন ডিফেন্সের উপর দিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন লিভারপুলের হেন্ডারসন। সেখানে থাকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ তাতে পা লাগিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু শটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়্যেল নয়্যারকে পরাস্ত করতে যথেষ্ট জোর ছিল না।
কয়েক সেকেন্ড পরে কেইতার কাছ থেকে বল পেয়েও পোস্টের বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন লিভারপুলের সেনেগালিজ তারকা সাদিও মানে। ১ মিনিট পরেই পাল্টা আক্রমণ শানায় বায়ার্ন। এবার লিভারপুলের ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান বায়ার্নের পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানডভস্কি। কিন্তু তার শট বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসন।
২৩ মিনিটে সহজ এক সুযোগ নষ্ট করেন মানে। বায়ার্নের অর্ধে মিডফিল্ডার নেবি কেইতার পায়ে বল ঠেলে দিয়েছিলেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু তিনি কাজে না লাগাতে পারলেও বল যায় গোলবার থেকে মাত্র ১০ গজ দূরে থাকা মানের পায়ে। কিন্তু পোস্টের বাইরে শট মেরে বসেন এই সেনেগালিজ।
৪০ মিনিটে আরও এক সুযোগ নষ্ট করে লিভারপুল। এবারও সেই গোলবারের কাছে থাকা মানেই দলকে গোলবঞ্চিত করেন। বায়ার্নের গোলবার থেকে মাত্র ছয় গজ দূরে থাকা মানের দিকে ক্রস দেন অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের। কি বুঝে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠানোর চেষ্টা করেন মানে। কিন্তু এবারও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় শট।
প্রথমার্ধের একদম শেষদিকে বাঁ প্রান্ত থেকে সালাহ ও মানে মিলিত আক্রমণ শানিয়ে এগিয়ে যান বায়ার্নের গোলমুখে। সেখানে থাকা জার্মান ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপের পায়ে বল পৌঁছে দেন ফিরমিনো। কিন্তু পোস্টের বাইরে শট নেন মাতিপ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য দুই দলই মরিয়া হয়ে উঠে। ৫১ মিনিটে কেইতার বাড়ানো বল এগিয়ে ঠেকাতে যান বায়ার্ন গোলরক্ষক। কিন্তু বলে পেয়ে যান সালাহ। যদিও সময়ের গড়মিলে অল্পের জন্য বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
৮৫ মিনিটে ম্যাচের শেষ সুযোগটা নষ্ট করেন মানে। রবার্টসনের বাড়ানো ক্রস পা বাড়িয়ে ঠেকিতে যান বায়ার্ন ডিফেন্ডার কিমিচ। কিন্তু বল দখলে নিয়ে নেন মানে আর আলত ছোঁয়ায় নিচু শটে বল জালের দিকে ঠেলে দেন। কিন্তু এই শটও ঠেকিয়ে দেন নয়্যার।
এবার নিয়ে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অ্যানফিল্ড স্টেডিয়াম থেকে টানা তিন ম্যাচে গোলশুন্য ড্র নিয়ে ফিরলো বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে সবধরনের ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২০ মাচ অপরাজিত রইলো লিভারপুল।
লিভারপুল কোচ ক্লপের জন্য এটি বায়ার্নের বিপক্ষে ৩০তম ম্যাচ ছিল, তার ক্যারিয়ারে যা এক দলের বিপক্ষে সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ। কিন্তু এবারই প্রথম বাভারিয়ানদের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র দেখতে হলো এই জার্মান কোচকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০,২০১৯
এমএইচএম