চলতি বছরের ১ জুলাই বার্সেলোনায় পাড়ি জমাচ্ছেন ডি জং। কাতালানদের হয়ে তার চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৩/২৪ মৌসুম তথা পাঁচ মৌসুম।
ডাচ জায়ান্টরা ফুটবলার তৈরির কারখানা হিসেবে পরিচিত। কম মূল্যে খেলোয়াড় কিনে তার প্রতিভা বিকশিত করতে সহায়তা করে আবার আকাশ ছোঁয়া মূল্যে বিক্রি করতে উস্তাদ তারা।
কিন্তু ডি জংয়ের ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা রীতিমত ইতিহাস। ২০১৫ সালে উইলেম টু থেকে মাত্র ১ ইউরোয় আয়াক্সে আসেন আমস্টারডামের এই তরুণ। বদলে কয়েকজন খেলোয়াড় পাল্টা হিসেবে ধারে খেলতে যান।
তবে আয়াক্সের সঙ্গে চুক্তিতে একটা শর্ত ছিল। আর তা হলো তাকে বিক্রি করতে হলে আগের ক্লাবকে মোট দামের ১০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু তবুও চুক্তিতে মূল্যটা ছিল ১ ইউরো।
৩৩০ মিলিয়ন ইউরোর জুভেন্টাসকে দুই লেগেই হারিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখা আয়াক্সের মোট বাজেটই ৯২ মিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি। ভাবা যায়?
অল্প বয়সেই ফুটবল বিশ্বকে নিজের প্রতিভায় বুঁদ করে রেখেছেন ডি জং। চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরের নক-আউট পর্বে রিয়াল মাদ্রিদ আর জুভেন্টাসকে বিদায় করার পেছনে আয়াক্সের মিডফিল্ডে তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ।
বয়স যাই হোক না কেন, এখনই বার্সেলোনার মতো বিশ্বসেরা ক্লাবের হয়ে খেলার যোগ্যতা হাসিল করে ফেলেছেন ডি জং। আগামী ১ জুনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল জিতে শিরোপা উৎসব করেই হয়ত মেসিদের সঙ্গী হতে চান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমএইচএম