এর মধ্যে বছরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার তথা গোল্ডেন বুট যৌথভাবে ঘরে তুলেছেন লিভারপুলের দুই তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। এই দুজন ছাড়াও এই পুরস্কারে ভাগ বসিয়েছেন আর্সেনালের পিয়েরে-এমেরিক অউবামেয়াং।
এবারের গোল্ডেন বুট জেতা তিন খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা সমান ২২টি করে। যদিও মৌসুমের শেষ ম্যাচে রোববার (১২ মে) রাতে উলভসের মুখোমুখি হওয়ার আগে তালিকায় এগিয়ে ছিলেন মিশরীয় তারকা সালাহ। কিন্তু ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে জোড়া গোল করে তাকে ছুঁয়ে ফেলেন সেনেগালিজ তারকা মানে।
অন্যদিকে একই রাতে বার্নলির বিপক্ষে আর্সেনালের ৩-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেন অউবামেয়াং।
এবারই প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিন আফ্রিকান ফুটবলার গোল্ডেন বুট জেতার স্বাদ পেলেন।
একই রাতে শিরোপা উৎসব করা ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো দলের শেষ ম্যাচে ব্রাইটনের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে গোল করেও তালিকার দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছেন। তার গোলসংখ্যা ২১টি।
তিন শীর্ষ গোলদাতার মধ্যে সালাহ আবার একটা জায়গায় এগিয়ে। পুরো মৌসুমে তিনি অ্যাসিস্ট করেছেন ৮টি, অউবামেয়াং ৫টি আর মানে মাত্র ১টি। তবে অ্যাসিস্টের হিসাবের কারণে গোল্ডেন বুটের পুরস্কারে কোনো প্রভাব পড়েনি।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এমন ঘটনা ঘটল। এর আগে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ক্রিস সুটন, মাইকেল ওয়েন এবং ডিওন ডাবলিন। আর পরের মৌসুমেই পুরস্কার ভাগ করেন জিমি-ফ্লয়েড হ্যাসেলবেইঙ্ক, ডুইট ইয়র্ক এবং মাইকেল ওয়েন।
সালাহ কিংবা মানের গোল্ডেন বুট জয় অবাক না করলেও আর্সেনালের অউবামেয়াং বেশ চুপিসারেই তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছেন। ২ হাজার ৭৩১ মিনিট খেলে ২২ গোল করেছেন তিনি। অর্থাৎ গড়ে ১২৪ মিনিটে ১টি করে গোল।
মানে খেলেছেন ৩ হাজার ৮৫ মিনিট, গোল প্রতি খেলেছেন ১৪০ মিনিট। আর সালাহ খেলেছেন ৩ হাজার ২৫৬ মিনিট, গোল পিছু খেলেছেন ১৪৮ মিনিট।
এছাড়া সদ্য সমাপ্ত মৌসুমের প্রায় সব ব্যক্তিগত পুরস্কারই উঠেছে লিভারপুলের খেলোয়াড়দের হাতে। বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন দলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক আর সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস