২০১৫/১৬ মৌসুমে ফরাসি ক্লাব মোনাকোর হয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন এমবাপ্পে। ২০১৬/১৭ মৌসুমে ২৬ গোল করে ক্লাবকে লিগ ওয়ানের শিরোপা জেতানোর পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তোলার পেছনেও রাখেন মূল ভূমিকা।
মোনাকোর হয়ে এমবাপ্পের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স নজরে পড়ে যায় বিশ্বের প্রায় সব বড় ক্লাবের। তবে তাকে দলের ভেড়ানোর লড়াইয়ে জয়ী হয় প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। তাকে নিতে ১৮০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ফরাসি জায়ান্টরা, যা সর্বকালের সবচেয়ে দামি ফুটবলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান এনে দেয়।
পিএসজিতে যোগ দিয়ে নিজের দামের মর্যাদা রাখতে সক্ষম হয়েছেন এমবাপ্পে। বর্তমান ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত ৮৭ ম্যাচে ৬০ গোল করে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেছেন তিনি। এমনকি একই ক্লাবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় নেইমার থাকা সত্ত্বেও নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন।
শুধু পিএসজি নয়, জাতীয় দল ফ্রান্সেরও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এমবাপ্পে। মঙ্গলবার (১২ জুন) রাতে ইউরো-২০২০ বাছাইপর্বের ম্যাচে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ফ্রান্সের মূল একাদশে ছিলেন তিনি। ম্যাচের মাত্র ১১তম মিনিটে দলের প্রথম গোলটি আসে তার পা থেকে। আর তাতেই বিশাল এক মাইলফলক গড়া হয়ে যায়। এটাই তার ক্যারিয়ারের ১০০তম গোল।
এমবাপ্পে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৩টি, মোনাকোর হয়ে ২৭টি এবং পিএসজির হয়ে গোল করেছেন ৬০টি। মাত্র ২০ বছর বয়সেই এলো এই বিশাল অর্জন। অথচ একই মাইলফলক গড়ার সময় দুই সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বয়স ছিল ২২ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এমএইচএম/এমএমএস