ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সফলতা পায় তারা।
লিভারপুলের আক্রমণে কোনঠাসা হয়ে পড়ে নরউইচ। ১৬ মিনিটে রবার্টসনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপরই ব্যাবধান বাড়ায় স্বাগতিক দল। ১৯ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে পেনাল্টি বক্সের ডান পাশে রবার্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বল পেয়ে যান মোহাম্মদ সালাহ্। বাম পায়ের শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন মিশরীয় এই স্ট্রাইকার।
২৮ মিনিটে আসে তিন নম্বর গোল। সালাহ্’র নেওয়া কর্নার থেকে হেড দিয়ে গোল করে স্কোরশিটে নাম তোলেন ভ্যান ডাইক। ৩১ আরও মিনিটে একটি গোলের সুযোগ পায় লিভারপুল। কিন্তু ফিরমিনোর নেওয়া জোড়ালো শট ফিরিয়ে দেন নরউইচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল।
ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন। ৪২ মিনিটে আবারও গোলের দেখায় পায় অল রেডসরা। মাঝমাঠ থেকে দারুণ বোঝাপড়ায় আলেক্সান্ডার আরনল্ডের ক্রস থেকে হেড দিয়ে গোল করেন অরিগি। প্রধমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যহত রাখে লিভারপুল। ৪৮ মিনিটে লিভারপুলের জর্ডান হেন্ডাসনের নিশ্চিত গোলমুখি শট ফিরিয়ে দেন ক্রল। ফিরতির বলে আরও একটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন ফিরমিনো।
৬২ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলো নরউইচ। মরিটজ লেইটনারে জোড়ালো শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। তবে ৬৪ মিনিটে ঠিকই ব্যবধান কমায় অতিথি দলটি। ইমিলিয়ানো বুয়েনডার বাড়োনো বল টীমু পুক্কি’র ডান পায়ের শটে বল জালের ঠিকানা খুঁজে পায়।
৮৫ মিনিটে আরনল্ডের নেওয়া ফ্রিকিক ফিরিয়ে দেন ক্রুল। এরপর চেষ্টা করেও আর গোলের দেখায় পায়নি লিভারপুল। ফলে ৪-১ গোলের জয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
আরএআর/এমএমইউ