বুধবার (০২ অক্টোবর) দিনগত রাতে ক্যাম্প ন্যুয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দলের সেরা তারকা মেসিকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ নিয়েই মাঠে নেমেছিল ভালভার্দের শিষ্যরা। সঙ্গী হয়েছিলেন ইনজুরি থেকে ফেরা আরেক ফরোয়ার্ড উসমানে দেম্বেলে।
অপরদিকে সফরকারী ইন্টার মিলান মাঠে নেমেছিল দলের সেরা তারকা রুমেলু লুকাকুকে ছাড়াই। তবে তাতে কন্তের দলের আক্রমণে কোনো ভাটা পড়েনি। বরং প্রথমার্ধ শুরুর মাত্র তৃতীয় মিনিটেই পুরো ক্যাম্প ন্যু’কে স্তব্ধ করে দেওয়া গোল করে বসেন লাউতারো মার্তিনেস। ঝড়ের গতিতে বার্সার ডিফেন্সে ছুটে গিয়ে হালকা পাসে মার্তিনেসের পায়ে বল ঠেলে দেন চিলিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যালেক্সিস সানচেস। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বার্সা ডিফেন্ডার ল্যাঙ্গলেটের চ্যালেঞ্জ পার করে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগানকে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
গোল খেয়ে দিশেহারা বার্সা প্রথমার্ধে তেমন গোছালো কোনো আক্রমণ শানাতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ইন্টারের রক্ষণ তটস্থ করে রাখেন মেসি-সুয়ারেসেরা। এই আক্রমণের ফল আসে ৫৮তম মিনিটে। শুরুটা করেছিলেন মেসি। বল নিয়ে ইন্টারের রক্ষণে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু জমাট রক্ষণ ভাঙতে না পেরে আলতো পাসে বল পাঠিয়ে দেন আর্তুরো ভিদালের পায়ে। বল পায়ে গলিয়েই দারুণ এক ক্রসে বাঁ প্রান্তে থাকা সুয়ারেসের কাছে পাঠিয়ে দেন চিলিয়ান মিডফিল্ডার। অবিশ্বাস্য এক ভলিতে দূরের পোস্টে পাঠিয়ে দেন সুয়ারেস।
সমতায় ফিরে বার্সা যেন নিজের আসল রূপে ফিরে আসে। ইন্টারের রক্ষণকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেন মেসিরা। শেষ পর্যন্ত জেতার জন্য মরিয়া বার্সা গোলের দেখা পেয়ে যায় শেষ বাঁশি বাজার ৫ মিনিট আগে। এবারও গোলদাতা সেই সুয়ারেস। ইন্টারের রক্ষণের সেনাদের পায়ের জাদুতে বিভ্রান্ত করে মেসি শেষ মুহূর্তে বল পাঠিয়ে দেন বক্সের ঠিক সামনে থাকা সুয়ারেসের পায়ে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে জালে জড়িয়ে দেন বার্সা স্ট্রাইকার। জয়সূচক এই গোলের পর কার্যত এলোমেলো হয়ে পড়ে ইন্টার। ফলাফল স্বস্তিদায়ক এক জয় সঙ্গী করে মাঠ ছাড়েন মেসিরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমএইচএম/জেডএস