লড়াইয়ে ফেরা
আরও একবার নিজেদের প্রমাণ করেছে কাতালান জায়ান্টরা। মেসি-সুয়ারেসদের ফর্ম এরই মধ্যে পয়েন্ট টেবিলেও প্রভাব ফেলেছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ
ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে ভালো অবস্থানে ফিরেছে বার্সেলোনা। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ড্র করার পর ইন্টার মিলানের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও জয় তুলে নেওয়া দলটির হার না মানা মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা মৌসুমের শুরুতে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ৬ পয়েন্টের মধ্যে ৪ পয়েন্ট অর্জন, ভালোই বলতে হবে।
লিওনেল মেসি
ইনজুরি কাটিয়ে সদ্যই ফিরেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড মেসি। তার ফিটনেসের উন্নতি দলটির খেলায়ও প্রভাব ফেলছে। ইন্টার মিলান ম্যাচে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় গোল পেয়েছিল কাতালানরা। আর সেভিয়া ম্যাচে মৌসুমে নিজের প্রথম গোলের দেখাও পেয়েছেন। এখন ২৬ অক্টোবরের এল ক্লাসিকোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। আর এজন্য বিরতিটা কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
লুইস সুয়ারেস
বাকি মৌসুমের মতোই এবারও আড়ালে থেকেই মৌসুম শুরু করেছেন বার্সেলোনার নম্বর ৯। তবে দ্রুতই নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন তিনি। দলের বিপদে তার পা যেন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। বার্সার সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে দলের জয়ে তার অবদান সবচেয়ে বেশি।
আর্তুরো ভিদাল
দলে ফিরেই নিজের জাত চেনাতে শুরু করেছেন ভিদাল। দলে তার গুরুত্বও অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বার্সার সর্বশেষ দুই ম্যাচে তার খেলায় দারুণ ছন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। গোল করানোর পাশাপাশি নিজেও জাল খুঁজে পেয়েছেন। সবমিলিয়ে ভালভার্দের ভরসার মান রক্ষা করে চলেছেন এই চিলিয়ান মিডফিল্ডার।
মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন আন্দ্রে টের স্টেগান। আগের মৌসুমের ধারা অব্যাহত রেখে এবারও প্রায় প্রতি ম্যাচেই অসাধারণ কিছু সেভ করেছেন বার্সা গোলরক্ষক।
আর্থার মেলো এবং ফ্রেঙ্কি ডি জং
বার্সার মিডফিল্ডের দুই তারকার জুটি দারুণ জমে ওঠেছে। আক্রমনভাগে বল জোটানোর পাশাপাশি মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে তাদের সাফল্য শুরুর একাদশে তাদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে।
ইনজুরি
বার্সার জন্য সুসংবাদ আছে ইনজুরি আপডেটেও। দলের মূল তারকা মেসি আগেই ফিরেছেন। গত ম্যাচে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন উসমানে দেম্বেলেও। যদিও ওই ম্যাচেই আবার লা কার্ড হজম করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবে আন্তর্জাতিক বিরতির পর ইনজুরি আক্রান্ত বাকিরাও ফিরে আসবেন। কিন্তু স্যামুয়েল উমতিতির ফিরতে সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এমএইচএম