নেইমারের উত্থান এমন এক সময়ে যখন বিশ্ব ফুটবল শাসন করছেন মেসি ও রোনালদো। যুগের সেরা দুই ফুটবলারের পরের নামটি এখন পর্যন্ত নেইমারের দখলে।
ফরাসি লিগকে একসময় ‘কৃষকের লিগ’ বলা হতো। সেই অবস্থান অনেকটাই পাল্টে গেছে নেইমারের কল্যাণে। ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলে নয় শুধু, পিএসজি এখন বিশ্ব ফুটবলেই জায়ান্টের তকমা পেয়েছে। তবে নেইমারের আসল রূপ দেখা যায় জাতীয় দলের জার্সিতে।
ব্রাজিলের হয়ে ১০০তম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন নেইমার। সিঙ্গাপুরে সেনেগালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচটি জিততে পারেনি ব্রাজিল। আর নেইমারও পাননি গোলের দেখা। তাতেও অবশ্য তার পরিসংখ্যানে কোনো ছাপ পড়েনি। ১০০ ম্যাচ খেলে জাতীয় দলের হয়ে তার গোল এখন ৬১টি।
২৭ বছর বয়সে ৬১ গোলের মালিক নেইমার এরই মধ্যে পেছনে ফেলে দিয়েছেন রোনালদিনহো, রোমারিও, জিকো এবং রিভালদোর মতো কিংবদন্তিদের। সামনে আছেন শুধু দুই কিংবদন্তি- পেলে ও রোনালদো নাজারিও।
শীর্ষ গোলদাতাদের সঙ্গে তুলনায় নেইমার
ক্যারিয়ারের শেষে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান হয়তো নেইমারের দখলে থাকবে। আর ১০০ ম্যাচের হিসাবে এখনই বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন তিনি। এই কীর্তিতে তিনি পেছনে ফেলেছেন-লুইস সুয়ারেস, থিয়েরি অঁরি, ওয়েইন রুনি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, জলাতান ইব্রাহিমোভিচ এবং লিওনেল মেসিদের মতো তারকাদের।
ব্রাজিলের জার্সিতে ১০০ ম্যাচে নেইমারের ৬১টি গোলের পাশাপাশি ৪১টি অ্যাসিস্টও আছে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ১০০ ম্যাচ খেলে মেসির ঝুলিতে যোগ হয় ৪৬ গোল, অ্যাসিস্ট ৩১টি। রোনালদোর গোলসংখ্যা ছিল ৩৭টি, অ্যাসিস্ট ২৬টি। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেসের ঝুলিতে ছিল ৫১ গোল, অ্যাসিস্ট ২৬টি।
সুইডেনের হয়ে ১০০ ম্যাচে ইব্রা’র গোল ছিল ৫০টি, অ্যাসিস্ট ১৫টি। সমান ম্যাচে ফরাসি কিংবদন্তি অঁরি গোল করেছিলেন ৪৪টি, অ্যাসিস্ট ২৭টি। আর ইংলিশ তারকা রুনি করেছিলেন ৪৪ গোল, অ্যাসিস্ট ১৯টি।
আরও কয়েক বছর জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন মেসি ও রোনালদো। কিন্তু এটা দেখে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না যে- এই দুই কিংবদন্তির চেয়ে ভালো রেকর্ড নিয়েই অবসরে যাবেন নেইমার। শুধু কি তাই, তার ট্রফি ক্যাবিনেট কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশনস কাপ এবং অলিম্পিক গোল্ড মেডেল মিলিয়ে এখনই অনেক সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এমএইচএম