মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বে দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে কলকাতার যুব ভারতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
পুরো ম্যাচে যেভাবে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন ইয়াসিন খান, রিয়াদুল ইসলাম, রায়হান, জামাল ভূঁইয়ারা, তাতে ম্যাচটা জেতার কথা ছিল বাংলাদেশেরই। ভারতের সুনীল ছেত্রী, উদান্ত সিংদের কড়া পাহারায় রাখার জন্য বাংলাদেশের রক্ষণভাগ প্রশংসার দাবিদার। ৪১তম মিনিটে জামালের বাঁকানো ফ্রি কিকে হেড করে সাদ যে গোলটি করলেন তা এদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মনে অনেকদিন গেঁথে থাকবে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে গোল মিসের হতাশায় পুড়তে হয়। ইব্রাহীমের পাস থেকে জীবনের বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ফিরে। এর কিছুক্ষণ পর ইব্রাহীমের শট ক্রসবারে লাগে। ৭০তম মিনিটে জীবনের লব গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে গোলমুখে প্রবেশের ঠিক আগে ফেরান আদিল খান। পরে এই আদিলের বুলেট গতির হেডেই সমতায় ফিরে ভারত।
ম্যাচ শেষে শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। তবে জিততে না পারার হতাশার কথাও জানালেন তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে আমরা দুর্দান্ত খেলেছি। ছেলেরা সঠিকভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কিছু সুযোগ ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে গোলটার কারণে আমি হতাশ। কারণ তিন পয়েন্ট পাওয়ার মতোই খেলেছি আমরা। ’
শক্তির পার্থক্য তো আছেই, তাছাড়া সল্টটেকে ৭০ হাজার দর্শকের সামনে স্নায়ুচাপ সামলে জয় তুলে নেওয়া সহজ কথা নয় বলেই মত দিলেন জেমি, ‘ভারতের মাটিতে ৭০ হাজার দর্শকের সামনে জয়ের আশা আমরা করিনি। এখানকার পরিবেশ ছিল চমৎকার। এত দর্শকের সামনে ড্র নিয়ে ফেরা দারুণ ব্যাপার। দলের খেলোয়াড়দের আজকের পারফরম্যান্সে আমি গর্বিত। সব মিলিয়ে ফলাফল ড্র হওয়াটাই ঠিক আছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এমএইচএম