রোববার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ‘এ’ গ্রুপের দু’দল মোহনবাগান ও ইয়ং এলিফেন্টস।
ম্যাচের শুরু থেকে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকে মোহনবাগান।
এর দু’মিনিট পরে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান। দশম মিনিটেও দুর্দান্ত ফ্রি-কিক নিয়ে ফের ইয়ং এলিফেন্টসদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয় মোহনবাগানের দেনিয়েল নিকোলাস সাইরাস।
লাওসের ইয়ংরা প্রথম গোলের পায় ম্যাচের ১৬ মিনিটে। বোনপাচান বংকং অবশ্য হতাশই করেন স্থানীয় সমর্থকদের। কেননা খেলা দেখতে আসা অধিকাংশ দর্শক গলা ফাটিয়েছে লাওসের ক্লাবটির নামে। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি মোহনবাগানকে। ১৮ মিনিটে কর্নার কিক নেন মিডফিল্ডার কোর্তা উড়ে আসা বল ফ্রান্সিসকো হাভিয়ের গঞ্জালেস মুনোজের ছোঁয়া লেগে চলে যায় হুলেন কলিনেস ওলাজিওলার কাছে। হেড থেকে বল এলিফেন্টসের জালে জড়িয়ে দেন এই স্প্যানিশ উইঙ্গার।
এরপর সমতায় ফিরতে আক্রমণের ধার বাড়ায় ইয়ং এলিফেন্টস। ৪১ মিনিটেই গোল শোধ দিতে পারতো তারা। অবশ্য এর দু’মিনিট পর ঠিকই সফলতা পায় লাওসের ক্লাবটি। বল নিয়ে তীব্র গতিতে মোহনবাগানের রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েন থিনোলাথ। তার থেকে বল পায় সোমজে কিওহানাম। ৪৩ মিনিটে চমৎকার শটে ইয়ংদের সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড।
বিরতিতে যাওয়ার আগেও মোহনবাগানকে উৎকণ্ঠায় রাখে ভেংগাদাসালামের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের পসরা সাজায় দু’দল। ৬৩ মিনিটে ফরোয়ার্ড সালভাদর পেরেজ মার্তিনেজ সুযোগ পেয়েও এলিফেন্টসের গোলরক্ষক জায়াসাভাতকে পরাস্ত করতে পারেননি। ৭৭ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল এলিফেন্টসেও।
তবে ম্যাচটি জমে ওঠে শেষ মুহূর্তে। ৮৭ মিনিটে মোহনবাগানের এক খেলোয়াড়কে নিজেদের ডি-বক্সের ভেতর বাধা দিলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এলিফেন্টস অধিনায়ক ভান্না বোনলোভোংসা। পেনাল্টি পায় ভিকুনার দল। কিন্তু সুযোগটি নষ্ট করেন জোশেভা কর্তা। তার স্পট-কিক ডান পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন জায়াসাভাত।
পরের মিনিটে প্রতি-আক্রমণে ওঠে মোহনবাগানের গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে পরাস্ত করেন সোমজে। থিনোলাথের ক্রস থেকে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল শোধের চেষ্টা করেও সফল হয়নি মোহনবাগান।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত হওয়া টুর্নামেন্টটির এটি তৃতীয় আসর। প্রথম আসর শুরু হয় ২০১৫ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
ইউবি/এমএমএস