ফেভারিট তকমা গায়ে জড়িয়ে খেলতে নামা বার্সাকে প্রথমার্ধে কঠিন সময় উপহার দিয়েছে প্রাগ। তবে দুই দলের মাঝে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন মেসি।
তবে গোল খেয়ে যেন জেগে উঠল প্রাগ। একের পর এক আক্রমণে জেরার্ড পিকে, নেলসন সেমেদোদের রীতিমত পরীক্ষায় ফেলে দেয়। বার্সার রক্ষণের দুর্বলতা আবিষ্কার করার পর থেকে টানা বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় প্রাগ। বিশেষ করে পিটার অলিয়েঙ্কা এবং টমাস সসেকের দুটি শট ছিল দুর্দান্ত। তবে রক্ষণের ব্যর্থতার মাঝেও নিজের মাথা ঠাণ্ডা রেখেছেন বার্সা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের-স্টেগান। গোটা মৌসুমেই দুর্দান্ত কিছু সেভ করে চমকে দেওয়া টের-স্টেগান এদিন যেন বার্সার রক্ষণের ত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন। একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের বেশ কিছু গোলের সুযোগ কেড়ে নিয়েছেন তিনি।
প্রথমার্ধে বার্সার গোলমুখে প্রাগ শট নিয়েছিল ১০টি, যার মধ্যে অন শট ছিল ৬টি। আর একই সময়ে গোলমুখে বার্সার শট ৬টি আর অন শট ৪টি। দুই দলের খেলার ধরন এতেই আন্দাজ করা যায়। তবে স্বাগতিকদের অপেক্ষা দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকেই শেষ হয়। মাসুপাস্টের দারুণভাবে বাড়িয়ে দেওয়া বলে টের-স্টেগানকে পরাস্ত করেন প্রাগ ডিফেন্ডার ইয়ান বোরিল।
তবে এগিয়ে যেতে মাত্র ৭ মিনিট সময় নেয় বার্সা। এবার মেসির অসাধারণ ফ্রি-কিকে বল পেয়ে যান সুয়ারেস, কিন্তু প্রথম চেষ্টায় বল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তবে বল লাফিয়ে সীমানা পার হওয়ার আগেই বাঁকানো এক শট নেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার, বল জালে প্রবেশ করার আগে অলিয়েনঙ্কোর পা ছুঁয়ে যায়। ৭০তম মিনিটে মেসির বাড়ানো বল ডি-বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক স্থানে পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি সুয়ারেস। পাঁচ মিনিট পরে বুসকেতসের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে মেসির পথে ঠেলে দিয়েছিলেন আলবা। কিন্তু অল্পের জন্য সুযোগ হাত ছাড়া করেন মেসি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হাত ছাড়া হয়নি।
বার্সার হাতে নিজেদের দুর্গ হারালেও ৫ নভেম্বর বার্সার দুর্গ ক্যাম্প ন্যুয়ে হানা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে প্রাগ। তবে পরের লড়াইয়ের আগে আপাতত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান দখল করে ঘরে ফিরতে পারছে বার্সেলোনা।
এদিকে রাতের আরেক ম্যাচে আয়াক্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ‘এইচ’র শীর্ষস্থান দখল করেছে চেলসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এমএইচএম