আগের দুই ম্যাচে জয় পাওয়ায় সেমিফাইনালে যেতে হলে শিরোপা পুনরুদ্ধারে নামা চট্টগ্রাম আবাহনীর ড্র হলেও চলতো মোহনবাগানের বিপক্ষে। তবে হারলেও ভয় ছিল না তাদের।
শেষ চার কিছুটা নিশ্চিত থাকায় কোচ মারুফুল হক তার একাদশে নিয়ে আসেন ছয় পরিবর্তন। বিশ্রাম দিয়েছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, মিডফিল্ডার ম্যাথিউ চিনেডু, আরিফুল ইসলাম, গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল, মনির আলম ও রহমত মিয়াকে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ম্যাচের শুরু থেকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাতে থাকে দুই দল। নবম মিনিটে মোহনবাগানের ডি-বক্সের ভেতর গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রতকোভিচ লুকা। আক্রমণের ঢেউ তুলতে থাকা ভিকুনার দল ১২তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট না করলে এগিয়ে যেতে পারতো। ৩৪তম মিনিটে লুকা আবার তেড়েফুঁড়ে ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। শটও নেন গোলপোস্ট লক্ষ্য করে। কিন্তু তার আগে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। দু’দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত থাকলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি।
বিরতি থেকে ফিরে ৫০তম মিনিটে গোলপোস্টের বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান। এরপরের মিনিটে দুর্দান্ত আক্রমণে ওঠে স্বাগতিকরা। কিন্তু গোল না পেলেও প্রথম কর্নারের দেখা পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। তার আগে ছয়টি কর্নার পেয়েছিল মোহনবাগান। ৫৭তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন ম্যাথিউ। ৬০তম মিনিটে গোল হজম করে বসে চট্টগ্রাম আবাহনী। ডি-বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত শট নিয়ে গোলরক্ষক মোহাম্মদ রকিকে পরাস্ত করেন মোহনবাগানের ফরোয়ার্ড সুহেয়ার ভেদাক্কেপিদিকা।
গোল হজমের পরের মিনিটে সমতায় ফিরতে মরিয়া চট্টগ্রাম আবাহনী নামায় তাদের দলের প্রাণভোমরা জামাল ভূঁইয়াকে। বাংলাদেশ অধিনায়ককে পেয়ে প্রেসিং ফুটবল দিয়ে খেলায় গুছিয়ে তোলে বন্দর নগরের দলটি। কিন্তু বারবার তাদের হতাশ হতে হয়েছে ফিনিশারের অভাবে। ৬৯তম মিনিটে মোহনবাগানের ডি-বক্সের ভেতর অনবদ্যভাবে ওয়ান টু ওয়ানে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন জামাল-ম্যাথিউ-লুকা। কিন্তু এবারও সুযোগ নষ্ট করেন তারা। ৭৫ ও ৮০তম মিনিটে দুইটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মারুফের শিষ্যরা। শেষদিকে আরও বেশ কয়েকবার আক্রমণে ওঠেন জামালরা। কিন্তু মোহনবাগানের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেননি তারা। শেষ পযর্ন্ত টুর্নামেন্টের প্রথম হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বন্দর নগরের ক্লাব আবাহনী।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
ইউবি/এইচএ/