ক্যাম্প ন্যুয়ে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে ভায়াদোলিদকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দলের জয়ে জোড়া গোল করার পাশাপাশি সমান অ্যাসিস্টও করেছেন মেসি।
ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই ল্যাঙ্গলেটের অসাধারণ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। কিন্তু ১৩ মিনিট পরেই গোল শোধ করে দেন ভায়াদোলিদের কিকো ওলিভাস। এরপর আর্তুরো ভিদালকে দিয়ে গোল করান মেসি। এগিয়ে যাওয়া বার্সাকে এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন বার্সা অধিনায়ক। ৩৪তম মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে অবিশ্বাস্য এক গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার খেলার ধার কিছুটা কমে গেলেও মেসি ঠিকই প্রতিপক্ষের গোলমুখে নিজের প্রভাব ধরে রাখেন। এর ফল আসে ৭৫তম মিনিটে। অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে প্রায় একক প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। এর ঠিক ২ মিনিট পর লুইস সুয়ারেসকে দিয়ে গোল করিয়ে ম্যাচের সব আলো নিজের করে নেন এই ক্ষুদে জাদুকর।
ল্যাঙ্গলেটের করা বার্সার প্রথম গোলটির পর স্বাগতিক গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের-স্টেগানের ভুলে গোল হজম করে বার্সা। কিন্তু ম্যাচে বার্সার ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন মেসি। তার ভাসিয়ে দেওয়া পাস বক্সে থাকা ভিদালের কাছে গেলে চিলিয়ান স্ট্রাইকার তা সহজেই জালে জড়ান। এরপর ৩৪তম মিনিটে ৩০ গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি, যা আবার ফ্রি-কিক থেকে তার ক্যারিয়ারের ৫০তম গোল (বার্সার হয়ে ৪৪ গোল এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৬ গোল)।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তার বানিয়ে দেওয়া বলে গোল হতে পারত আরও বেশি। বক্সের ভেতরে একবার আনসু ফাতিকে সহজ সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেরিতে শট নিতে যাওয়ায় ফাতির কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা। এরপর অফসাইডের কারণে সুয়ারেসের গোল বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু ইভান রাকিতিচের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোল এনে দেন মেসি। পরে মেসির অ্যাসিস্টে গোল করে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন সুয়ারেস।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ৭ জয়, ১ ড্র আর ২ হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে গ্রানাদা। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে ২০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এমএইচএম