দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে ড্র হলেও চলতো গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের। তবে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে কোনোপ্রকার ঝুঁকি নিতে চাননি ক্লপ।
অবশ্য উজ্জীবিত সালজবার্গ ঘরের দর্শকদের সামনে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কারণ তাদের চোখেও উঁকি দিচ্ছিল নক-আউট পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন। তার জন্য দরকার ছিল তিন পয়েন্ট। জয়ের জন্য মাঠে নেমে শুরু থেকে আক্রমণে ওঠেন হালান্ড-হাংরা। সপ্তম মিনিটে রবার্টসন দুই-দুইবার রক্ষা না করলে গোল হজম করে বসতো লিভারপুল। গোলপোস্ট ফ্রি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন স্বাগতিকদের দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার হাং।
তার আগে চতুর্থ মিনিটে লভরেনের পাস থেকে সহজ সুযোগ মিস করেন সালাহ। পুরো ম্যাচে একটি গোল করলেও একের পর এক গোল মিসের মহড়া দিয়েছেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধে দু’দলই ব্যস্ত ছিল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে। তবে তাতেও বিরতিতে যাওয়ার আগে গোলের দেখা পায়নি কেউ। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামা লিভারপুল। ৫৭ মিনিটে হেড থেকে রেড বুল অ্যারেনার দর্শকদের নীরব করে দেন নেবি কেইটা। সাদিও মানের পা থেকে ওড়ে আসা বলে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের মাঝখানে লাফ দিয়ে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে দেন এই গিনিয়ান মিডফিল্ডার।
পরের মুহুর্তে গোলের সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে সালজবার্গ। সেই প্রতিদানটা তারা দেয় ৫৮ মিনিটে। সঙ্গে আগের কয়েকটি গোল মিসের ক্ষতে প্রলেপ দেন সালাহ। সমতায় ফিরতে মরিয়া সালজবার্গ ওপরে ওঠে এলে মাঝমাঠ থেকে বল পান তিনি। এরপর লম্বা দৌড়ে এক ডিফেন্ডারকে ছিটকে ফেলে এবং প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে কোনাকুনি শটে লিভারপুলকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দেন ‘মিশরীয় কিং’।
ম্যাচের বাকি সময় আরও কয়েকবার গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে লিভারপুল। তবে তাতে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। ‘ই’ গ্রুপে ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তারা। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে অল রেডদের সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি। সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বেই শেষ হয়ে গেছে সালজবার্গের স্বপ্ন। একই গ্রুপে বেলজিয়ান ক্লাব গেঙ্কের পয়েন্ট এক।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
ইউবি/একে