২০১৭ সালে ট্রান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়ে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে পা রাখেন নেইমার। অথচ কাতালান জায়ান্টদের হয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
নেইমারের পাশাপাশি মোনাকো থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও কিনে আনে ফরাসি জায়ান্টরা। কাতারি পেট্রো ডলারের ঝনঝানানিতে বড় দুই তারকাকে দলে ভিড়িয়েও কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পায়নি দলটি। এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে যাওয়াও সম্ভব হয়নি।
নেইমারকে ফিরিয়ে নিতে চায় বার্সা, একথা আর গোপন নেই। তিনি নিজেও একথা মুখ ফুটে বলেছেন। ইউরোপ সেরা না হতে পারলে কাঙ্ক্ষিত ব্যালন’ ডি’অর হাতে তোলার সুযোগ যে নেই তা এখন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন তিনি। এমবাপ্পেরও একই অবস্থা। বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেলেও ইউরোপ সেরার মুকুট এখনও পরা হয়নি তার।
নিজেরা বিশ্বসেরার তালিকায় থাকলেও দলীয় অর্জন আহামরি না হওয়ায় প্যারিস ছাড়তে চান নেইমার ও এমবাপ্পে। নেইমারের মতো এমবাপ্পেকেও কেনার জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে অপেক্ষায় ইউরোপের জায়ান্টরা। দলের দুই মূল তারকাকে হারানোর ভয় তাই পিছু ছাড়ছে না ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
কোচ টমাস টুখেলের অধীনে ঘরোয়া ফুটবলে আধিপত্য ধরে রাখলেও আসল কাজ তথা ইউরোপীয় পর্যায়ে সাফল্য পাচ্ছে না পিএসজি। এবারও যদি এর ব্যতিক্রম না হয় তাহলে কপাল পুড়বে এই জার্মান কোচের।
এবারের আসরের শেষ ষোলোয় টুখেলের সাবেক ক্লাব ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে পিএসজি। ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখার সুযোগ এসেছে পিএসজির সামনে। কিন্তু দুই লেগে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে যদি টুখেল ব্যর্থ হন, তাহলে তার বিদায় ঘণ্টা বাজবে।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, যদি টুখেলে এবারও ব্যর্থ হন, তাহলে পেপ গার্দিওলা তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।
সাবেক বার্সা ও বর্তমান ম্যানচেস্টার সিটির কোচের সঙ্গী হিসেবে বার্সায় তার সাবেক শিষ্য জাভিকেও আনতে চায় পিএসজি। এর ফলে ইউরোপীয় শিরোপা জেতার সুযোগ যেমন বাড়বে, সেই সঙ্গে নেইমার ও এমবাপ্পের বিদায়ও ঠেকিয়ে দেওয়া যাবে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাকে বলে। অন্যদিকে নেইমার আবার সাবেক গুরু আর সতীর্থের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
নেইমার ও এমবাপ্পে দুজনের চুক্তির মেয়াদই ২০২২ সালে শেষ হবে। তার আগেই বার্সা আর রিয়াল দুজনকে নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু করেছে। গার্দিওলা আর জাভিকে আনতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলে ধারণা পিএসজির। ওদিকে প্রায় সাড়ে তিন বছর সিটির দায়িত্বে থাকা গার্দিওলাও হাওয়া বদল করতে চাইছেন বলে খবর।
জাভিও কাতারি ক্লাব আল সাদ’কে বিদায় বলার অপেক্ষায় আছেন। খেলোয়াড়ি জীবন দারুণভাবে কাটলেও কোচ জাভির ক্যারিয়ার তেমন আহামরি নয়। কিছুদিন আগে এসপেরান্স দে তিউনিসের বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচে ৬-২ গোলে হেরে যাওয়ার পর আল সাদ’র সমর্থকরা তাকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছে। এখন দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেলেই হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
এমএইচএম