ঘরের মাঠ এস্তাদিয়ো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে (রোববার) দিবাগত রাতে চলতি বছরে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল রিয়াল। জিদানের শিষ্যরা ম্যাচটা খেলেছেও দারুণ।
ড্র ম্যাচেও অবশ্য শক্তি প্রদর্শনটা ভালোই করেছে রিয়াল। বার্সার মাঠে যেমন কাউন্টার অ্যাটাকের পসরা সাজিয়েছিলেন করিম বেনজেমা-ক্রুসরা, এই ম্যাচেও তার ঘাটতি ছিল না। কোচ জিদান এদিন এল ক্লাসিকোর দলে কিছু পরিবর্তন আনেন। সেন্টার-ব্যাকে ফিরিয়ে আনেন এদের মিলিতাওকে, মিডফিল্ডে মদ্রিচ আর দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র মিলে করিম বেনজেমার সঙ্গে আক্রমণভাগে।
দুই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড একাদশে সুযোগ পাওয়ার প্রতিদান দিয়ে বেশ চেষ্টা করে গেছেন। টনি ক্রুসের শট ক্রসবারে লাগার আগে সবচেয়ে প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন ভিনিসিয়ুস। অ্যাতলেতিকোও বসে ছিল না। ইনাকি উইলিয়ামস তো একবার অল্পের জন্য রিয়াল গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়াকে পরাস্ত করতে পারেননি।
প্রথমার্ধের শেষদিকে নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেন বেনজেমা। তবে ফরাসি স্ট্রাইকারের শট ঠেকিয়ে দেওয়া উনাই নুনেসের ক্লিয়ার করাও প্রশংসার দাবিদার। এরপর অ্যাতলেতিকোর কেনান কোদ্রো দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করলেও অফসাআইডের ফাঁদে পড়ায় বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে মিলিয়াওকে তুলে নিয়ে নাচোকে নামান জিদান। বদলি হিসেবে নেমেই নজর কাড়েন নাচো। কিন্তু তার দুর্দান্ত হেড থেকে বল ক্রসবারে লাগে। এরপর রদ্রিগোর বদলে গ্যারেথ বেলকে নামান রিয়াল কোচ। কিন্তু খেলার ফলাফল বদলের মতো কিছুই করতে পারেননি এই ওয়েলস ফরোয়ার্ড। বরং এর কিছুক্ষণ পর অ্যাতলেতিকোর উইলিয়ামস অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হন। শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে রক্ষা করেন রিয়ালের দুর্গ।
কিছুতেই কিছু যখন হচ্ছে না, তখন ভিনিসিয়ুসকে তুলে নেন জিদান। তার বদলে হিসেবে নেমেই গোল করতে পারতেন জোভিচ, কিন্তু তার হেডও পোস্টে আঘাত করে ফিরে আসে। রিয়ালের প্রচেষ্টা এখানেই শেষ হয়। এরপর একদম শেষ মুহূর্তে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন অ্যাতলেতিকোর আসিয়ের ভিয়ালিবরে। তবে এবার দুর্দান্ত দক্ষতায় বল ঠেকিয়ে রিয়ালকে ১ পয়েন্ট পাইয়ে দেন কুর্তোয়া।
এই ড্রয়ের পর লা লিগায় ১৮ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৩৭। শীর্ষে থাকা বার্সার চেয়ে যা ২ পয়েন্ট কম। সমান ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে সেভিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচএম