নিয়মরক্ষার ম্যাচ হওয়ায় এদিন নিয়মিত একাদশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রাখেন বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই সমান আধিপত্য দেখানোর চেষ্টা করে দুই দলই।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে দশজনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। চট্টগ্রাম আবাহনীর দিদিয়েরকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড হজম করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বসুন্ধরার তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার নাজারোভ। এর পরের মিনিটে গোল হজম করে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ডি-বক্সের ডান দিক দিয়ে চট্টগ্রামের নাসিরুলের দেয়া ক্রস থেকে হেড দিয়ে গোল করেন অধিনায়ক দিদিয়ের। বিরতির আগেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরা।
বিরতির পর শুরতেই ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪৮তম মিনিটে বসুন্ধরার ডিফেন্সের দক্ষতায় গোল বঞ্চিত হয় চট্টগ্রাম। ৬৭তম মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিলে বসুন্ধরা। ফাঁকায় দাঁড়িয়েও ইমন বাবু লক্ষ্যের অনেক বাইরে শট নেন।
৭০তম মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর দিদিয়ের সহজ একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। ফাঁকা গোল পোস্ট পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ৭৫তম মিনিটে দিদিয়ের আরেকটি গোল ফিরিয়ে দেয় বসুন্ধরা। দিদিয়ের’র করা শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও শেষ পর্যন্ত বসুন্ধরার ডিফেন্ডার ফয়সাল ক্লিয়ার করেন।
৮০তম মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী আরও একটি সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন রাকিব। নসিরুলের ক্রস থেকে রাকিব হেড করলেও খুব কাছ থেকে ফিরিয়ে দেন বসুন্ধরার গোলরক্ষক জিকো।
ম্যাচের বাকিটা সময় চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বসুন্ধরা। ফলে ২-০ গোলের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্কার ব্রুজোনের দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম