এমন দমবন্ধ দিনগুলোতে কোভিড-১৯ নিয়ে নিজেরা যেমন সতর্ক আছেন তেমনি বিশ্ববাসীকেও সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছেন মেসি-রোনালদো। সেই সঙ্গে বিশ্বের এ দুই সেরা ফরোয়ার্ড ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা-সেবা দেওয়া বিশ্বের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের।
লা লিগা স্থগিত হওয়ার পর মেসির নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার খবর প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে। অবশ্য আর্জেন্টাইন জাদুকর কোভিড-১৯ পজিটিভ নন। সময়টা এখন তিনি পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন।
মহামারি করোনার উদ্বেগজনিত সময়টাতে একে অপরের পাশে থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের দুই ছেলের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মেসি লিখেছেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের জন্যই সময়টা বেশ কঠিন। এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অনেকেই তার নিজের বা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের জন্য খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিন যাপন করছেন। এসব অসহায় মানুষগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে আমাদের। ’
স্বাস্থকর্মী ও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে মেসি আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোত যে সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা লড়াই করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাঁচাচ্ছেন, তাদের অভিনন্দন। এই সময়ে আমাদের সকলের উচিৎ চিকিৎসক ও প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে চলা। বাড়ির বাইরে না বেরিয়ে প্রিয়জনের পাশে থাকুন। আমার আশা, বিশ্ব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবে। ’
অন্যদিকে করোনার কারণে ইতালিয়ান সিরি’আ লিগ স্থগিত হওয়ার পরপরই পতুর্গালে নিজ বাড়িতে ফিরে যান জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড রোনালদো। তার ক্লাব সতীর্থ ইতালিয়ান সেন্টার-ব্যাক দেনিয়েল রুগানির কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যাওয়ার পরপরই কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ার খবর পাওয়া যায় পর্তুগিজ উইঙ্গারের।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুস্থ আছেন সিআর সেভেন। এমনকি করোনা আক্রান্তদের সহয়তার জন্য নিজের হোটেলকে হাসপাতাল করারও চিন্তা করছেন রোনালদো। এমনকি সমস্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের খরচও বহন করবেন তিনি। এমন খবর ভেসে বেড়াচ্ছে গণমাধ্যমে। তবে তার সত্যতা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে এসব গুজব হোক সত্য নয় মিথ্যা, সেইদিকে মনোযোগ না দিয়ে রোনালদো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, ‘এই মুহূর্তে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে চলেছে বিশ্ব। সবাইকে একে অপরের পাশে থেকে আক্রান্তদের সেবা-যত্ন করে সুস্থ করে তুলতে হবে। এ কথা একজন ফুটবলার হিসেবে বলছি না। বরং বর্তমান পরিস্থিতি দেখে এই এসব বলছি, একজন বাবা, ছেলে বা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার এ বক্তব্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেসব পরামর্শ দিয়েছে তা আমাদের মেনে চলতে হবে। সবার ওপরে মানুষের জীবন। ধন্যবাদ চিকিৎসকদের। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও, আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
ইউবি/এমএমএস