ম্যাচের শুরু আর শেষ। আচমকা গোল হজম।
অথচ লিওনেল মেসির জোড়া গোলের পাশাপাশি পেদ্রির গোল, ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ৯০ মিনিটের মাথায় ডিফেন্সের ভুলে আচমকা গোল হজম কাতালান জায়ান্টদের অহমে আঘাত দেওয়ার মতো যথেষ্ট। যা দেখে ভাষ্যকার থেকে শুরু করে মেসি পর্যন্ত সবাই রীতিমত অবাক।
বুধবার দিনগত রাতে খেলা শুরুর তৃতীয় মিনিটেই বার্সার ডিফেন্সকে লজ্জায় ডুবিয়ে গোল আদায় করে নেয় বিলবাও। রাউল গার্সিয়ার থ্রো-বল ধরে বার্সার বিখ্যাত ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ইনাকি উইলিয়ামস। বিলবাও ফরোয়ার্ড এরপর বার্সা ডিফেন্ডার লেংলেকে আলতো ছোঁয়ায় পেছনে ফেলে গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের-স্টেগানকে পরাস্ত করেন।
গোল হজমের যন্ত্রণা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি বার্সার। ১৪তম মিনিটে ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ংয়ের উঁচু ক্রস দূরের পোস্টে যাওয়ার পথে ছয় গজের বক্সে থাকা মিডফিল্ডার পেদ্রি সেটা জালে জড়িয়ে দেন। এরপর বিরতির মিনিট সাতেক আগে ১৫ গজ দূর থেকে নেওয়া পেদ্রির দুর্দান্ত ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মেসিকে গোলমুখে ছুটতে দেখা যায়। তিনি যে আজ গোল করার মুডেই ছিলেন তার প্রমাণ মিললো ৬২তম মিনিটে। এবার সমন্বিত আক্রমণের ফসল ঘরে তোলে বার্সা। পরস্পরের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করতে করতেই বক্সের সামনে থেকে মেসির দিকে ক্রস দেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। আর বল পেয়েই চারদিকে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমনকি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক গ্লাভস তোলার আগেই লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
৭২তম মিনিটে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন মেসি। বার্সা অধিনায়কের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর যখন শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা, ঠিক তখনই আবারও ডিফেন্সের ভুলে গোল খেয়ে বসে বার্সা। এবার মেসির ব্যাক পাস থেকে বল চলে যায় বিলবাওয়ের ইকার মুনিয়ানের পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাঁকানো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন স্বাগতিক দলের মিডফিল্ডার। শেষ বাঁশি বাজতেই মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছাড়েন মেসিরা।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে। ১৭ ম্যাচে রোনাল্ড কোম্যানের দলের সংগ্রহ ৩১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ আছে দুইয়ে। আর বার্সা-রিয়ালের চেয়ে ২ ম্যাচ কম খেলে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২১
এমএইচএম