ঢাকার ফুটবলের পরিচিত নাম এলিটা কিংসলে। এতদিন বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে খেলতেন বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটায়।
নাইজেরিয়ান পরিচয় মুছে ফেলে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিক হতে আবেদন করেন এলিটা। গত রোববার তার সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ফলে এখন থেকে এদেশে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারবেন তিনি। সেই সঙ্গে ঘরোয়া ফুটবলে খেলবেন স্থানীয় ফুটবলার হিসেবে।
চলতি মৌসুমে কোনো ক্লাবে না খেললেও কিংসলে এখন পর্যন্ত ফ্রি খেলোয়াড়। তবে মধ্যবর্তী দলবদলে এই ফরোয়ার্ডকে পেতে চায় বসুন্ধরা কিংস। ঘরোয়া লিগের নতুন জায়ান্টরা এরইমধ্যে কথাবার্তা অনেকটা চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলেও জানা গেছে। এর আগে তিনি বাংলাদেশের ফুটবলে মুক্তিযোদ্ধা, আরামবাগ ও বিজেএমসির হয়ে খেলেছেন।
জন্মভূমির নাগরিকত্ব ত্যাগ করা ৩১ বছর বয়সী এলিটা কিংসলে ২০১১ সালে আরামবাগের হয়ে খেলতে আসেন। পরের বছর লিজা নামের এক বাঙালি নারীর সঙ্গে রেস্তোরাঁয় পরিচয় হয় তার। সেই বছরই বিয়ে করেন তারা। তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যা সন্তান। লিজার আগের ঘরেও এক ছেলে সন্তান আছে।
২০১৬ সালে এলিটা বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। বৈবাহিক সূত্রে এদেশের নাগরিকত্ব পেতে হলে আগের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হতো। স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য সেই কঠিন শর্ত মেনে নেন তিনি। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর এখন ৭ বছরের মেয়ে সাফিরার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতও শিখছেন এলিটা।
এদিকে নাগরিকত্ব পেলেও বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন এখনই পূরণ হচ্ছে না এলিটার। এই চেষ্টা তিনি আগেও করেছিলেন। ২০১৫ সালে ডাচ কোচ ক্রুইফ তাকেসহ আরও দুইজন আফ্রিকান ফুটবলারকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে জাতীয় দলে খেলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাফুফে তখন রাজি হয়নি। বর্তমান কোচ জেমি ডে অবশ্য এলিটার ব্যাপারে ইতিবাচক।
এলিটার নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা শুনলেও তার ব্যাপারে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না ডে, ‘এলিটা নিঃসন্দেহে ভালো ফরোয়ার্ড। তবে যতটুকু জানি সে অনেকদিন খেলার মধ্যে নেই। ফলে তাকে এখন খেলে প্রমাণ করতে হবে। আমি যাদের ডেকেছি, ওকে তাদের চেয়ে ভালো করতে হবে। যদি সে প্রমাণ করতে পারে তবে তাকেও জাতীয় দলে খেলার সুযোগ দেওয়া যাবে। তবে তাকে অন্যদের সঙ্গে লড়াই করেই আসতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এমএইচএম