ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

জিতলেই ফাইনাল, এমনকি ড্র করলেও চলতো। কিন্তু এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে পেনাল্টি মিস আর শেষদিকের গোলে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিল বাংলাদেশ।

 

প্রাইম মিনিস্টার মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফির রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে স্বাগতিকদের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে মারিও লেমোসের দল। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপেও নেপালের বিপক্ষে শেষ দিকে পেনাল্টি গোল খেয়ে রাউন্ড রবিন লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার শ্রীলঙ্কায় ভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলেও একই অভিজ্ঞতা হলো লাল-সবুজের জার্সিধারীদের।

অন্যদিকে ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না সিশেলসের কাছে হার ও মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র করা লঙ্কানদের সামনে। সেই সমীকরণও তারা ম্যাচের অধিকাংশ সময় ১০ জন নিয়ে খেলেও মিলিয়ে নিল শেষদিকে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মালদ্বীপকে হারানো ম্যাচের একাদশে নিয়েই মাঠে নামে বাংলাদেশ। কর্দমাক্ত মাঠে বল ধরে রাখা কঠিন হলেও ধীরে ধীরে গুছিয়ে উঠেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়াতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ২৫তম মিনিটেই স্বাগতিকরা পেয়ে যায় গোলের দেখাও। বক্সের বাইরে থেকে শ্রীলঙ্কার এক খেলোয়াড়ের শট ফেরালেও বল ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। সামনে থাকা লঙ্কান ফরোয়ার্ড ওয়াসিম রাজিক স্লাইড শটে বল জালে জড়িয়ে দেন।

গোল হজমের মিনিট সাতেক পরেই সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। জামালের কর্নারে তপু বর্মণের হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে লাল কার্ড দেখেন লঙ্কান ডিফেন্ডার ডাকসন পুসলাস। তপুর নেওয়া স্পট কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে গেলে হতাশ হয় বাংলাদেশ। যোগ করা সময়ে জামালের কর্নার হৃদয় অনেকটা লাফিয়ে হেড করলে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। ক্লিয়ার না করায় বল ফাঁকায় পেয়ে যান সুশান্ত ত্রিপুরা। কিন্তু এই ডিফেন্ডারের শটও ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে এজন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়ে অনেকটা সময়। প্রথমে ৬১তম মিনিটে বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মেরে হতাশা বাড়ান তপু। তবে এর ১০ মিনিট পরে বদলি হিসেবে নামা জুয়েল রানার দারুণ গোলে খেলায় সমতা আসে। বাঁদিক থেকে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসে নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়ান আবাহনীর এই ফরোয়ার্ড। এর ৭ মিনিট পর আতিকুর রহমান ফাহাদের শট অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।

খেলার একদম অন্তিম সময়ে সাদউদ্দিনের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর তা থেকে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিকদের উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন তাজিক। যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। উল্টো কর্দমাক্ত বক্সে লাফিয়ে বল ধরতে গিয়ে পড়ে যান জিকো। মাঠে বেশ কিছুক্ষণ কাঁধে হাত চেপে পড়ে থাকেন তিনি। পরে প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হলেও ততক্ষণে যোগ করা সময়ও শেষ হয়ে যায়।

এর আগে দিনের আরেক খেলায় মালদ্বীপের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ফাইনালে উঠেছে সিশেলস। আগামী শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।