ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ব্রিগেডিয়র জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. ইউনুছুর রহমান, আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা ও আবু জাফর প্রমুখ।

এ সময় অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে জানান।

সাক্ষাৎকালে হাসপাতালের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে স্বাস্থ্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিপরীতে স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি দ্রুত সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সংগঠনটিসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন ও ১৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। সেগুলো হচ্ছে, সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
আরকেআর/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।